অর্থনীতি

BANK: বিভিন্ন কারণে গ্রাহকদের জরিমানা, ব্যাঙ্কগুলির আয় ৩৫,০০০ কোটি টাকা

ভারত সরকারের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে ন্যূনতম ব্যালান্স না রাখা, এটিএমে নির্ধারিত লেনদেনের বেশি লেনদেন করা এবং এসএমএস পরিষেবার জন্য 35,000 কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

ব্যাঙ্কগুলি ন্যূনতম ব্যালান্স না রাখার জন্য 21,044 কোটি টাকা, এটিএমে নির্ধারিত লেনদেনের বেশি লেনদেন করায় 8,289.3 কোটি টাকা এবং এসএমএস পরিষেবার জন্য 6,254.3 কোটি টাকা আদায় করেছে।

২০১৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালান্স না থাকলে গ্রাহকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহক পরিষেবা সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে এই অনুমতি দিয়েছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের এটিএম সংক্রান্ত সংশোধিত নির্দেশিকা মেনে গ্রাহকদের প্রতি মাসে নিখরচায় এটিএমে পাঁচটি লেনদেন করতে দেবে। তার বেশি এটিএম লেনদেনে গ্রাহককে চার্জ দিতে হবে।

যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করে মেট্রো শহরে নিখরচায় সর্বোচ্চ তিনটি এবং নন-মেট্রো শহরে পাঁচটি লেনদেন করা যায়।

ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করলেও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোট অনাদায়ী ঋণের হিসেব থেকে ২.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিয়েছে।

ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ এই জরিমানার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে বলেছে যে কর্পোরেট ঋণখেলাপিদের ঋণ মকুব করা এবং হেয়ার কাটের ফলে ব্যাঙ্কগুলিকে যে লোকসান গ্রহণ করতে হচ্ছে তা এর থেকে স্পষ্ট।

তা আংশিক ভাবে কোনও না কোনও অজুহাতে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের এই বৈষম্যমূলক অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ।

Back to top button