বিনোদন

নুসরতের মা হওয়ার খবরে কেন ভেঙে পড়েছেন নিখিল! ইনস্টা-পোস্টে বাড়ছে জল্পনা

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বেশিরভাগ সময় তিনি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন। নানা সময় নানান সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর মা হওয়ার খবরে ভোরে গেছে। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন। সেই সময় কটুক্তিতে ভরে গিয়েছিল তাঁর কমেন্ট বক্স।

এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় টলিপাড়ার অলিতে-গলিতে একটাই গুঞ্জন, মা হতে চলেছেন নুসরত জাহান।তবে সত্যি নাকি নিছকই জল্পনা তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর নুসরতে স্বামী নিখিল জৈনের কাছে একের পর এক ফোন আসছে গতকাল সকাল থেকে। আর সেই ফোনে রীতিমতো তিতিবিরক্ত নুসরতের প্রাক্তন নিখিল।নুসরতের গর্ভের সন্তানের বাবা বলে নিজেকে মানতে নারাজ নিখিল, এমনটাই নিখিল সোজাসোজি জানিয়ে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। তবে তার চেয়েও বেশি হতবাক হয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ায়।

নিখিল জানান, ‘নুসরত যে মা হতে চলেছেন এই কথা আমি জানিও না। কারণ আমার সঙ্গে নুসরতের কোনও যোগাযোগ নেই। এবং প্রায় ৬ ধরে আমরা আলাদা আছি।’ এমনকি নিখিল আরো জানান, ‘নুসরত এখন যে সঙ্গীর সঙ্গে রয়েছে তার সঙ্গেই যেন ভাল থাকে। ঈশ্বর ওদের মঙ্গ ল করুক। এবং আমিও আমার মূল্যবোধ নিয়ে ভাল আছি।’

তবে কেন নুসরতের মা হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছেন নিখিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়ছে জল্পনা।নিখিল নিজের ওয়ার্ক আউটের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, কর্ম তোমায় সবসময় অনুসরণ করবে৷ অর্থাৎ যে যা করছে, তার ফল পাবে৷ তাঁর ও নুসরতের সম্পর্কে কী হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি দু’পক্ষই৷ তবে খুব স্বাভাবিক মনোমালিন্য হলে, একে অপরকে দোষারোপ করাটাই স্বাভাবিক৷ এবং সেক্ষেত্রে নিখিলের অভিমান থাকবেই তাঁর স্ত্রীর প্রতি৷

এরপরই একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেন নিখিল ৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্লাইটের ভিতর বসে নিখিল৷ মুখে স্মিত হাসি৷ এই ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, আমি সেই সব স্মৃতি খুব ভালবাসি যা আমার মুখে হাসি ফোটায়, যে কোনও সময়৷ আমার জীবন এখন যেই সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখনও৷ অর্থাৎ তিনি খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন যে বর্তমান সময় তিনি খুব একটা খুশিতে নেই৷ উল্টে তাঁর জীবন নানা জটিলতার মধ্যে দিয়েই কাটছে৷

তবে এরপরের পোস্টেও ধরা পড়েছে একরাশ অভিমান৷ একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি হ্যাপি বার্থ ডে গানটি গিটারে বাজাচ্ছেন৷ এরসঙ্গেই তিনি লিখেছেন বিশেষ ধন্যবাদ তাঁদের যাঁরা জানেন যে জন্মদিন এক বিশেষ দিন৷ সবাই নিজেদের জীবনে আনন্দে থাকুন৷ এর পরের লাইটি তাৎপর্যপূর্ণ৷ যখন তিনি লিখছেন, যাঁরা এই দিনটি নষ্ট করতে চান, তাদের প্রতি ধিক্কার৷ এই সব কাছের মানুষের উদ্দ্যেশেই লিখেছেন বলে মনে করছেন নেটিজেনদের অনেকেই ৷ যারা এই বিশেষ দিনটিতেও তার মনে কোস্ট দিয়েছে তাদের কোনোভাবেই নিখিল ক্ষমা করবেন না বলেই স্পষ্ট ওই পোস্টে ৷ এমনকি আবার এটাও হতে পারে যতই তাঁর ক্ষতি কেউ চাক না কেন, তাঁর কিছুই হবে না৷ কারণ তিনি তো আগেই বলেছেন যে তিনি কর্মে বিশ্বাসী৷ এবং যিনি কর্মে বিশ্বাসী, তিনি নিজে জেনে বুঝে কি কারও ক্ষতি করবেন?

Back to top button