বিনোদন

প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল, অবশেষে নিজের কষ্টের কথা জানালেন সোনু সুদ

ঈশ্বর আর মানুষের মধ্যে কত মিল তাই না। কখনো মানুষ কাঁদে ঈশ্বরের জন্য তো কখন ঈশ্বর কাঁদেন মানুষের জন্য।যখন কোনো শিষ্য ঈশ্বরকে ডাকে তখন ঈশ্বর সারা দিতে না পারলে নিজেও কষ্টে থাকেন। সত্যি ঈশ্বর আছেন কি না এই নিয়ে অনেকের মনেই নানা রকম প্রশ্ন জেগে থাকে। কিন্তু মানুষ যখন কোনো ছোটোখাটো বা বড় বিপদে পরে থাকেন তখন কিন্তু তারা ঈশ্বরকেই ডেকে থাকেন। ভরসা করে থাকেন সেই ঈশ্বরের ওপর।কিন্তু ঈশ্বর তো আর সব জায়গাতেই থাকতে পারেন না। ঈশ্বর হয়তো বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের মতোই অন্য কোনো মানুষের মধ্যেও পাঠিয়েছেন। যারা সাধারণ মানুষের দুঃখে পাশে থাকবেন। বিপদে সঙ্গে থাকবেন।

অভিনেতা সোনু সুদ বর্তমান নিজের কথা না ভেবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। সেখানে তার কোনো স্বার্থ নেই । একটা সময় যাদের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে পাশে থেকেছেন, আজ তাদের মধ্যে কারোর কারোর জীবন মৃত্যু মুখে। গত বছর করোনার সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনু সুদ । দূর দূর জায়গা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেতা । এবছরও যেন সেই সাধারণ মানুষের পাশে সোনু সুদ।সম্প্রতি করোনা ভ‍্যাকসিন নিয়ে সচেতনতামূলক অভিযান চালানো শুরু করেছেন সোনু সুদ ও তাঁর টিমের সদস্যরা। এই অভিযানটির নাম তাঁরা রেখেছেন ‘সঞ্জীবনী, আ শর্ট লাইফ’।

গত রবিবার মধ্যরাতে সোনু সুদ একটি পোস্ট করেন। সোনু সুদ তাদের জন্যই লিখছেন যে যাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন কিন্তু তারপরেও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাই এদিন সোনু সুদ লেখেন,”যে সমস্ত পরিবারকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তাঁদের অসুস্থ মানুষটিকে সুস্থ করে তুলবই, দিনের শেষে সেই প্রতিজ্ঞা না রাখতে পাওয়ার যন্ত্রণা নিজের পরিবারের কাউকে হারানোর থেকে কম কষ্টের নয়।আরও কষ্টের সেই পরিবারটির সম্মুখীন হওয়া।”

কয়েকদিন আগেই সোনুর এক পরিচিত মানুষ মারা যান কোভিডে।যার নাম ভারতী। তিনি নিজে দেখেননি তবে তিনি সাহায্য করেছিলেন। সেই সব বেদনা নিয়ে এদিন সোনু সুদ লেখেন,”সহায় লাগছে। যে সমস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দিনে ১০ বার কথা হয়তো তাঁদের সঙ্গে হয়তো সারাজীবনের জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে…”। বিপদে মানুষ একজনকেই মনে করছেন আর তিনি হলেন গরিবের রাজা রবিনহুড সোনু সুদ।

Back to top button