বিনোদন

বৃহস্পতিবার হবে শেষকৃত্য, বিদেশ থেকে ছেলের ফেরার অপেক্ষায় বাপ্পি লাহিড়ীর মরদেহ

একের পর এক নক্ষত্র পতন। শোকে ডুবে গোটা দেশ। সঙ্গীত জগতের এ যেন এক অভিশাপ। বারে বারে তা শিল্পীদের মুখে উঠে আসতে শোনা যাচ্ছে বিগত কয়েকদিনে। সদ্য লতা মঙ্গেশকরের শোকে জর্জরিত গোটা দেশ হারালেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার রাতেই সবাইকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় গায়িকা, শেষকৃত্যের আগেই এলো আরো এক দুঃসংবাদ। প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী।
৬ মাস আগেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করে বাড়ি ফিরলেও, শরীরে বেশ খানিকটা ক্ষয় হয়েছিল, কণ্ঠস্বরে সমস্যা দেখা যাওয়ায় বন্ধ ছিল কথা বলাও। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছিল ফুসফুসে সমস্যা দেখা গিয়েছিল তার। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে হাঁটছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী।

সেই সময় দীর্ঘদিন ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী ছিলেন বাবার পাশে। দাঁড়িয়ে থেকে সবদিকে নজর রেখে চালিয়ে ছিলেন চিকিৎসা। এরপর বছর ঘুরতেই আবারো অসুপস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। টানা একমাস ভর্তি থাকার পর অবশেষে মেলে ছুটি। বাবার স্বাস্থ্যের কুশল সংবাদেই লস অ্যাঞ্জেলে ছিলেন বাপ্পা লাহিড়ী। কিন্তু একটা দিন কাটতে না কাটতেই সব শেষ। ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন বাপ্পি লাহিড়ী।

তবে তার শেষ কৃত্য বুধবার করা হবে না। মধ্যরাতের বিমানে বাড়ি ফিরবেন পুত্র বাপ্পা লাহিড়ী। বৃহস্পতিবার হবে শেষকৃত্য। পরিবারের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়।

মুম্বাইয়ের সিটি কেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

চিকিৎসারত ডাক্তার দীপক নমজোশির জানান, তিনি এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। সোমবারই দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের পক্ষ থেকে ছুটি। তবে মঙ্গলবারই শারীরিক অবস্থার অবনতী ঘটে, পরিবারের তরফ থেকে ডাক্তারকে বাড়িতেই ডেকে পাঠানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শ তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা থাকায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয়। অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে মৃত্যু ঘটে বাপ্পি লাহিড়ীর। মধ্যরাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Back to top button