বিনোদন

জনপ্রিয়তার উর্ধে উঠে টিআরপির তালিকায় এগিয়ে থাকা নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীরা শেয়ার করলেন তাদের অনুভূতি

টেলিভিশনে এধারাবাহিক সকলের প্রিয়। বিশেষ করে বাড়ির মা কাকিমার শরিয়াল দেখার ওস্তাদ। সন্ধেবেলায় ধারাবাহিক দেখতেই হবে তাছাড়া যেন দিন তাই খারাপ যায়। কিন্তু ধারাবাহিকে সবসসময় চলে কম্পিটিশন কে কার দিক থেকে এগিয়ে থাকে তা টিআরপি তালিকা থেকেই বোঝা যায়। প্রতি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় টেলিভিশনের টিআরপি রেটিং চার্ট। ২০ নাম্বার সপ্তাহে পৌঁছেও প্রথম স্তন অধিকার করে আছেন ‘মিঠাই’ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘অপরাজিতা অপু’, তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘যমুনা ঢাকী’।খুব কম সময়ের মধ্যে ধারাবাহিকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা কুণ্ডু ‘অপরাজিতা অপু’ সুস্মিতা দে, ‘যমুনা ঢাকী’ শ্বেতা ভট্টাচার্য।

‘মিঠাই’ ধারাবাহিক শুরু থেকে৩ই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে রয়েছে। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সৌমিতৃষা জানান শুটিং ইউনিটের প্রত্যেক সদস্য পরিশ্রম করে ‘মিঠাই’-কে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন। ‘মিঠাই’ যখন লঞ্চ হয় তখন বিপরীতে ছিল ‘মোহর’ -এর মতো হিট ধারাবাহিক। সৌমিতৃষার সামনে ছিল একই স্লটে সেরা হওয়ার লক্ষ্য। ফলে তিনি শুধু মন দিয়ে কাজ করেছেন। তারপর বাকিটা ছেড়ে দিয়েছেন ভগবানের উপর। সৌমিতৃষার বক্তব্য কোনোদিন যদি মিঠাই ২ বা ৩ নাম্বারে চলে আসে তবুও যেন তার জনপ্রিয়তা না কমে।

জী বাংলায় আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘অপরাজিতা অপু’। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সুস্মিতা কুন্ডু। এটি তার প্রথম ধারাবাহিক। ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার সুস্মিতা বরাবর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ধারাবাহিকে লিড রোল করা সত্ত্বেও এখনও সুস্মিতা সংলাপ ভুলে গেলে পরিচালক তা ধরিয়ে দেন। সুস্মিতা জানান যে প্রযোজক ও পরিচালকদের থেকে তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন। সুস্মিতা জানিয়েছেন, ভালো কাজ পাওয়ার জন্য টলিউডে সকলের সঙ্গে পরিচয় করার প্রয়োজন নেই তাঁর। দর্শক তাঁকে কতটা ভালোবাসছেন, সেটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।

আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘যমুনা ঢাকী’। এই ধারাবাহিকের গল্পে যমুনা একজন ঢাকীর মেয়ে যার জন্য তাকে তার শশুরবাড়ি থেকে অনেক অপমান সহ্য করতে হয়। ‘যমুনা ঢাকী’ শ্বেতা এর আগে হিন্দি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন। ‘যমুনা ঢাকী’-র মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা শ্বেতাও পার্টিতে যাওয়া, সুরাপান এড়িয়ে চলেন। অভিনেত্রী জানান যে তার বাবা মা তাকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। একসময় নুন-ভাত খেয়েও কাটাতে হয়েছে তাঁদের। আর তাই তার স্বপ্ন টাকা উপার্জন করে বাবা মাকে ভালো রাখা। তাই মন দিয়েই করে যাচ্ছেন অভিনয়।

Back to top button