‘The Kerala Story’ ছবির প্রদর্শনে জারি নিষেধাজ্ঞা, বাংলায় ব্যান নিয়ে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি?
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা নবান্ন থেকে এ খবর জানিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মমতা মহাসচিবকে বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ছবিতে দেখানো সমস্ত দৃশ্য রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বিপন্ন করতে পারে। তাই এটা নিষিদ্ধ করা হ।
মমতার এই সিদ্ধান্তের পর বিজেপি শিবিরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাচ্ছি। ধর্মীয় মৌলবাদ এবং আইএসআইএস-এর কাছে আত্মসমর্পণের নিদর্শন এই সিদ্ধান্ত। সমস্ত সংখ্যালঘুদের আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত করে তাঁদের অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একটা ভোট তৈরি করার স্বার্থে, সমস্ত সংখ্যালঘুদের এক ছাতার তলায় এনে চরম সর্বনাশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সবার এই সিনেমা দেখা উচিত। এই সিদ্ধান্ত রাজ্যে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা করবে।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও টুইট করেছেন, ‘আমি যতদূর জানি, “দ্য কেরালা স্টোরি” কেরালার ধর্মীয় অনুশাসনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যাতে নারীরা কিভাবে চরমপন্থী ধর্মীয় ধর্মগুরুদের দ্বারা উগ্রপন্থী হয়। এই ফিল্মটি তুলে ধরেছে কীভাবে কেরালায় নারীদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল এবং আফগানিস্তান, ইয়েমেন এবং সিরিয়ার মতো দেশে উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠন – আইএসআইএস-এ যোগ দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল।’
শুভেন্দু টুইটার প্রশ্ন: মুখ্যমন্ত্রী কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল? এই ছবিটি দেখিয়ে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে কেন? চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বজায় না থাকলে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
অন্যদিকে, বিজেপি সূত্রে খবর, দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবে তারা।