বিনোদন

প্রথমবার নিজের সন্তানকে দেখে অবাক মধুবনী, মা হওয়ার পর ফ্যানেদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সেই অভিজ্ঞতা

টলিউডের জনপ্রিয় জুটি ‘রাজা-মধুবনী’। কিছুদিন আগেই তারা বাবা-মা হয়েছেন। প্রথমবার স্বামী রাজার সঙ্গে তাদের পুত্র সন্তান ‘কেশব’ কে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। স্বামী রাজার সঙ্গে আলোচনা করেই তাদের ছেলের নাম কেশব রেখেছেন তারা। মা হওয়ার পর যে জীবনটা পুরোপুরি পাল্টে গেছে সেকথা নিজেই জানালেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। ‘ভালোবাসা ডট কম’ ধারাবাহিকে ‘ওম তোড়া’ হয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন রাজা-মধুবনী বাস্তবে সেই যাত্রা যেন আরো স্বপ্নীল হয়ে উঠলো তাদের প্রথম সন্তান জন্মানোর পর। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মধুবনী জানিয়েছেন, ‘কেশব আমার অনেক অভ্যাস বদলে দিয়েছে। রাজাকে তো প্রায় পুরোটাই পাল্টে দিয়েছে। এখন আমার সারাদিনের ধ্যান জ্ঞান ওই একরত্তিটার ওপরেই। ওর পরিচর্যার যেন কোনও খামতি না থাকে সেই খেয়াল রাখতে হয়’।

অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘যদি বা আমার কেশবকে ঘড়ির কাঁটা ধরে ওষুধ খাওয়াতে সামান্য দেরি হয় রাজা রীতিমতো বকুনি দেয় আমাকে’। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিনই শুটিং ফ্লোরে যেতে হচ্ছে রাজাকে। বাড়ি ফায়ার এসে মাস্ক পরে ছেলেকে কোলে নিচ্ছেন রাজা। প্রানভরে আদর করার ইচ্ছে তো আছে কিন্তু উপায় নেই। তাই বিরত রাখছেন রাজা নিজেকে। সদ্য জন্ম নেওয়া ছোট্ট কেশবের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার কথা ভেবে তাদের শোয়ার ঘরও এখন আলাদা। একটি ঘরে মধুবনী এবং কেশব থাকেন । আর অন্যটিতে রাজা একই থাকেন। যার দুঃখ ঝরে পড়লো মধুবানির গলায়, ‘পাশাপাশিই তো আমাদের দু’জনের ঘর। তবু মনে হয় কত দূরত্ব’।

কথা বলতে বলতেই কেশবের জন্ম নেওয়ার দিনটির কথা উঠে এলো। মধুবনী জানালেন, ‘হাসপাতালের বেডে সারারাত কাটানোর পর সকালে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলো তাঁকে। ইনজেকশন দিয়ে কোমর থেকে শরীরের নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অংশ অবশ করে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর চোখের সামনে তাঁর সন্তানকে আনা হলো’। নিজের সন্তানকে প্রথমবার দেখে নতুন মায়ের প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘এটা কার বাচ্চা’ ? নিজের সন্তানকে প্রথমবার দেখার অনুভূতি এখনো তার টাটকা হলেও সেই অনুভূতি প্রকাশ করতে তিনি অপারগ বলেই জানালেন। রাজা-মধুবানির গোটা পরিবার আপাতত ছোট্ট কেশব কে নিয়ে মত্ত রয়েছেন। কেশবের মা মধুবানির কথায়, ‘দাদু ঠাম্মার আদর খেতেই ব্যস্ত একরত্তি। আপাতত ওকে ঘিরেই ভবিষ্যতের স্বপ্ন তৈরি করছি আমরা’।

Back to top button