বিনোদনভাইরাল ভিডিও

হলিউড অভিনেতার সাথে প্রকাশ্যে চুম্বন, ভিডিও সামনে আসতেই দেশজুড়ে কুশপুতুল পোড়ানো হল শিল্পা শেট্টির

বর্তমানে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী একদিকে পর্নকাণ্ডে জেল হেফাজতে রয়েছেন। অপরদিকে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির একটি ঘটনা নিয়ে সরগরম নেট দুনিয়া। হলিউডের একজন বিখ্যাত অভিনেতা হলেন রিচার্ড গেয়ার। তিনি সমাজসেবামূলক কাজের সাথেও যুক্ত রয়েছেন। ২০০৭ সালে এমনই একটি কাজের জন্য ভারতে আসেন। এইডস ও এইচআইভি রোগের সতর্কতামূলক প্রচার এর জন্য। সেই সময়ের ঘটনা। সেই সময় অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিকে তিনি ভরা মঞ্চে অনুষ্ঠানে সকলের সামনে চুম্বন করেন। শুধু তাই নয় অভিনেত্রীকে জড়িয়ে ধরে নিচের দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং শিল্পার গালে চুমু খেতে থাকেন।

আর অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘুব্ধ হন জনতা। অভিনেত্রীকে ঘিরে “শিল্পা শেট্টি হায় হায়, রিচার্ড গেয়ার হায় হায়” রব ওঠে দেশজুড়ে। রিচার্ড চেয়েছিলেন যে শিল্পা তার সংস্কারমূলক সংস্থার সঙ্গে সমাজ সেবামূলক কাজে যুক্ত হন।কিন্তু তিনি ভারতে এসে ভরা স্টেজের উপর শিল্পকে চুম্বন করার জনগণ তা মেনে নেয় না। এই ঘটনার পরে শিল্পের কুশপুরুল পোড়ানো হয়েছিল দেশজুড়ে। অভিনেত্রী বলেন “এটা একটু বেশি হয়ে গেল”। এই কথা বলে তিনি হাসিমুখে বিষয়টাকে সামলে নিতে চেয়েছিলেন।

পরে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে রিচার্ড তার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। ২০০৭ সালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিকে শুনতে হয়েছিল নানা কুকথা। এরপর অভিনেত্রী বিভিন্ন ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, “রিচার্ড খারাপ উদ্দেশে কিছু করেননি। উদ্দেশ্য খারাপ হলে সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারতাম। হ্যাঁ এ কথা মানছি যে উনি যেটা করেছিলেন সেটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। কিন্তু অতিথি দেব ভবঃ, এই সংস্কৃতিও তো আমাদের দেশেরই। তাই আমি সেখানে কিছু বলিনি।” এই ঘটনায় তার স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে ২০১১ সালেও নানারকম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল।

এদিকে সম্প্রতি রাজের গ্রেফতারিতে অভিনেত্রী নানাভাবে ফের সমালোচিত হচ্ছেন। ১৯ জুলাই গ্রেফতার করা হয় রাজ কুন্দ্রাকে। এরপর রাজ কুন্দ্রাকে গত ২৭ শে জুলাই জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি মুক্তি পাননি। এদিন তিনি ছাড়া পেলেন না। আরও ১৪ দিন তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজের কারণের তার স্ত্রীকে শিল্পা শেট্টির জীবনেও নানারকম সমস্যা তৈরী হয়েছে। সমস্ত শ্যুটিং তিনি ক্যান্সেল করেছেন ও তার পরিবারের সম্মান মাটিতে মিশে গেছে।

Back to top button