প্রতীকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন, প্রথম বিয়ের সমস্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে চান সোনামনি
সন্ধ্যে হলেই বাড়ির মা কাকিমার সকলেই সিরিয়াল দেখার জন্য বসে পরে টিভির সামনে। চা বা পকোড়া খেতে খেতে সিরিয়াল দেখার মজাই আলাদা। ষ্টার জলসা আর জী বাংলা এই দুটোই রিমোট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখা। ষ্টার জলসায় জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মোহর’ সাড়ে ৮ টায়। ‘খড়কুটো’র পরেই মোহরের পালা। সকলেরই প্রিয় এই ধারাবাহিক। গল্পের আসল কাহিনী হল কলেজ পড়ুয়ার সাথে কলেজের অধ্যাপকের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া অতঃপর বিয়ে।
মোহর ওরফে সোনামনি ১৭ বছর বয়সে মালদা ছেড়ে পরিবারের অসম্মিতে কলকাতায় আসেন এবং গ্ল্যামারজগতে পা রাখেন। পভিনেত্রীর স্বপ্ন ছিল তিনি চাকরি করবেন। কিন্তু কোনোকারণ বসত তিনি গ্ল্যামার জগতে আসেন। স্মার্টনেস এবং ভালো হাইট থাকার জন্য কেরিয়ার শুরু করেছেন মডেলিং দিয়ে। এরপরে কাজ করেন দেবী চৌধুরানিতে। তারপর মোহরের মাধ্যম্যে তার সাফল্য আসে। ‘মোহর’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে সকল দর্শকদের মন জয় করেন।
অভিনেত্রী সোনামনির ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। কোরিওগ্রাফার সুব্রত রায়ের সাথে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর সুখেই সংসার করছিলেন অভিনেত্রী। বিয়ে হওয়ার পরেই তিনি অভিনয় করতে শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০২০ সালে এদের সমরকে ফাটঁ৬ওল দেখায় যায় এবং ডিভোর্স হয়। অনেকের ধারণা তাদের সম্পর্ক ভাঙার পিছনে প্রতীকের হাত রয়েছে। কিন্তু মোহর জানিয়েছে প্রতীক শুধু তার একজন ভাল বন্ধু।
অভিনেত্রী সোনামনির জনপ্রিয়তা বাড়লেও কোনোদিন অহংকার করেননি তিনি। তিনি খুব সাধারণ ভাবেই থাকেন। কলেজ পড়ুয়ারা যেরকম হয় আর কি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া। অভিনেত্রী মাটির মানুষের কাছেই থাকতে চান। তাই পার্টি ক্লাব এসবের থেকে দূরেই থাকেন। আর বিয়ে, প্রেম, ভালোবাসা থেকে আপাতত নিজেকে অনেক দূরে রাখতে চান। পুরোনো বিয়ে পুরোপুরি ভুলতে চান। একটি সংবাদমাধ্যমে সোনামনি জানান যে মোহর ও দেব চৌধুরানী দুটি আলাদা ক্যারেক্টর হলেও। তিনি মিল খুঁজে পান। যে দুটি চরিত্রটি তিনি প্রতিবাদী।