বিনোদন

‘শাড়ি বিক্রি’ করা কি খারাপ! সমালোচনার জবাবে মুখ খুললেন ‘দিদি নাম্বার-১’খ্যাত রচনা ব্যানার্জি

বাংলার এখন দুই দিদি, এক স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যজন জি বাংলার পর্দার রচনা বন্দোপাধ্যায়। দুই ব্রাহ্মণ নারী দাপিয়ে তাদের রাজত্ব চালাচ্ছেন একাধারে, একজন রাজ্য তো অন্যজন মহিলা মন। তার দিদি নং ওয়ান শোতে বাংলার ও বাংলার বাইরের দিদিরা আসে তাদের বীরত্বের গল্প শোনাতে। এখনও বিকেল মানেই জি বাংলার পর্দায় উঠে আসেন রচনা। প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন দিদিদের নিয়ে হাজির হন রচনা, উঠে আসে নানান ভিন্ন স্বাদের কাহিনী।

বহুদিন ধরে রচনা ব্যানার্জীকে বড় পর্দা বা ধারাবাহিকে দেখা যায় না, কিন্তু এই রিয়্যালিটি শোয়ের দৌলতে রচনা ব্যানার্জী এখন ঘরে ঘরে। এবারে তিনি আরো মানুষের কাছাকাছি আসতে চলেছেন।

বঙ্গ নারীদের পছন্দের বিষয় দুটি, একটি গয়না অন্যটি শাড়ি। এবারে বঙ্গ নারীদের আরো কাছাকাছি আসার চেষ্টায় নামলেন রচনা। তাদের পছন্দের শাড়ির কালেকশন নিয়ে অনলাইনে হাজির। আর অন্যান্য বিক্রেতাদের মতন তিনিও লাইভ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শাড়ি বিক্রি করতে বসেছেন। অবশ্য এই ব্যাপার অনেকেই ভালো মনে মেনে নেননি। অনেকের মতে, কাজ পাচ্ছেন না ইন্ডাস্ট্রিতে তাই শাড়ি। কেউ কেউ বলছেন, সেলিব্রিটিরা যদি শাড়ি বিক্রি করতে বসেন তবে ক্ষুদ্র বিক্রেতারা মার খাবেন শাড়ির বাজারে। উল্লেখ্য, রান্নাঘরের রাণী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় নিজেও নিজের বুটিক খুলে ফেলেছেন রেস্তোরাঁ র পাশাপাশি।

রচনা কি যোগ্য জবাব দিলেন? হ্যাঁ। যারা বলেছেন রচনা চড়া দামে শাড়ি বিক্রি করছেন তাদের উদ্দেশ্যে রচনার বক্তব্য, ‘অনেকেই হয়তো দুঃখ পেয়েছে আমি শাড়ি বিক্রি করছি দেখে। তবে তাদের জন্য বলব, রচনা পথপ্রদর্শক। শাড়ি বিক্রি করা কোনও ছোট কাজ নয়, আপনারাই বলুন না,‘শাড়ির ব্যবসা করা কি খারাপ? ‘। রচনা আরও বলেন, ‘আমার থেকেই সবই নেবে এমন কোনও ব্যাপার নেই তাই যাঁরা শঙ্কিত হচ্ছেন তাঁদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই’।

Back to top button