বিনোদন

প্রসেনজিতের ছেলে তৃষাণজিৎ এখন অনেক বড়, বাবার মতোই দেখতে ছেলে, হতে পারেন পরবর্তী হিরো

বাংলা সিনেমা তথা টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ নিজের অভিনয় ক্ষমতা ও পরিবর্তিত সময়ের সাথে তাল রেখে নিজেকে বদলে চলচিত্র জগতে করেছেন সুনাম অর্জন। প্রথম সিনেমায় হাতে খড়ি বাবা বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জির ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’। তারপর একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে তিনি আজ বাংলা সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা। ‘দুটি পাতা’ -র পর ‘অমর সঙ্গী’ সিনেমার সেই রোমান্টিক নায়ক থেকে প্রসেনজিৎ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করে ”২২শে শ্রাবন’ ও ‘প্রাক্তন’এর মত ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে তুলে ধরেছেন একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা হিসেবে। তিনি এখনো যুব প্রজন্মের কাছে নিজেকে গড়ে তুলেছেন এক আইডল হিসেবে।

টলিউদফে তিনি একের পর এক হিট ছবি উপহার দেওয়ার পর পারি জমিয়েছিলেন বলিউডেও। সেখানে তিনি অভিনয় করেছেন ১৯৮৯ তে ‘আঁধিয়া’ও ১৯৯১তে ‘মিত মেরে মন কে’ সিনেমায়। দুই সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করলেও মেলেনি প্রত্যাশিত সাফল্য। এছাড়াও তিনি ‘দ্য লাস্ট লিয়র’ নামক একটি হলিউড সিনেমায় স্ক্রিন শেয়ার করেছেন বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সাথে।

পেশাগত জীবনে যেমন তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন সেরকমই ব্যক্তিগত জীবনে তাকে যেতে হয়েছে বিভিন্ন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। অভিনেতার প্রথম দুই বারের বিবাহিত জীবন সাফল্য লাভ করেনি তবে তিনি অর্পিতার সাথে বিয়ে করে চুটিয়ে পালন করছেন সংসার জীবন। প্রসেনজিৎ ও অর্পিতার ছেলে তার নাম তৃষাণজিৎ।

নিজের পড়াশুনার কারণে তৃষাণজিৎ বেশিরভাগ সময়েই কাটান ইউরোপে। তবে করোনার কারণে এখন সে রয়েছে তার বাবা মায়ের কাছেই। আর অনেকদিন বাদে ছেলেকে কাছে পেয়ে এখন বেশ খুশি রয়েছেন প্রসেনজিৎ ও অর্পিতা। ইতিমধ্যেই চালের সাথে ছবি শেয়ার করেছেন প্রসেনজিৎ আর সেই ছবিতে বাবা -ছেলে মাইল ধরা দিয়েছেন একই রঙের একই ধরণের পোশাকে।

ছবির ক্যাপশনে প্রসেনজিৎ লিখেছেন “সময় বদলেছে, কিন্তু আমাদের রঙের পছন্দ একই রকম রয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিটি দেখে নায়কের ফ্যানেরা প্রশংসা করে জানিয়েছে শুভেচ্ছা।

Back to top button