কবির খানের আলোচিত ছবি ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করে শারীরিক পরিবর্তনে তাক লাগিয়েছেন অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। এই ছবিতে একজন সাঁতারু এবং বক্সারের চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে তাঁকে, যার জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সেলিব্রেটি প্রশিক্ষক রাহুল ভাট। রাহুল শুধু একজন প্রশিক্ষকই নন, তিনি মহেশ ভাটের প্রথম পক্ষের সন্তান, অর্থাৎ পূজা ভাটের ভাই এবং আলিয়া-শাহিন ভাটের সৎ ভাই। প্রশিক্ষণের বাইরে তিনি ‘বিগ বস সিজন ৪’-এর একজন জনপ্রিয় প্রতিযোগীও ছিলেন।
সম্প্রতি হিন্দি রাশ-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে কার্তিককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল। তিনি বলেন, “কার্তিকের আগে বক্সিং বা সাঁতারে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। ওকে সবকিছু প্রথম থেকে শিখতে হয়েছে। ও যেমন কোনও ক্রীড়াবিদ নয়, তেমনই টাইগারের মতো জন্মগত ফিটনেসও ওর ছিল না। তাই প্রথম থেকেই ওকে দিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করাতে হয়েছিল।” তবে কার্তিক যে সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ উতরে গেছেন, তা অকপটে স্বীকার করেছেন রাহুল।
রাহুল আরও জানান, ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ ছবিতে কার্তিকের অভিনয় দেখে তাঁর মনে হয়নি যে ‘চান্দু’র মতো একটি কঠিন চরিত্রে কার্তিক অভিনয় করতে পারবে। কিন্তু কার্তিক নিজের চরিত্রের জন্য সবদিক থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলে তাঁর সেই ভুল ভেঙে দিয়েছেন।
কার্তিকের সঙ্গে প্রশিক্ষণের প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা জানিয়ে রাহুল বলেন, “প্রথম প্রথম ওর (কার্তিকের) সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার একটু অসুবিধা হতো। আমির খান বা অন্য যাদের আমি প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তাদের সঙ্গে এমন হয়নি। কিন্তু ও নিজেই আমার কাছে মানিয়ে নিয়েছিল, এক অর্থে আমার প্রশিক্ষণের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।” কার্তিককে একজন সময়নিষ্ঠ, শ্রদ্ধাশীল এবং পেশাদার মানুষ হিসেবেও বর্ণনা করেন রাহুল।
কার্তিকের ফিটনেস এবং অভিনয়ের বাইরের একটি বিশেষ গুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন রাহুল ভাট। তিনি বলেন, “আমি ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যেমন আত্মপ্রচার। এক কথায় বলতে গেলে, ও জানে কীভাবে নিজেকে বা ছবির প্রচার করতে হয়। পিআর (Public Relations) -এর ব্যাপারে ও সবার থেকে অনেক এগিয়ে। প্রচারের কৌশল ও খুব ভালো করে জানে। আজকের যুগে একজন সফল তারকা হতে গেলে এটা অত্যন্ত জরুরি।” এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাহুল যেন আধুনিক বলিউডে টিকে থাকার এক নতুন সমীকরণই তুলে ধরেছেন।
