বিনোদন

পাগলা গারদে গেলেন নোবেল! মানসিক সমস্যায় ‘বিপর্যস্ত’ ‘সারেগামাপা’র জনপ্রিয় গায়ক

জী বাংলা সারেগামাপার মঞ্চে একজন জনপ্রিয় গায়ক হলেন নোবেল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার আচরণের জন্য বারবার বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। সারেগামাপার মাধ্যমেই তার জনপ্রিয়তা বাড়ে। সেই শো-এ গান গেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে বাংলাদেশের নোবেল যথেষ্ট পরিচিতি পান ভারতেও। সেই সময় অনেকেই তার গান পছন্দ করতেন।

সারেগামাপার মঞ্চে গান গেয়ে বাংলাদেশে ফেরার পরে নিজের মত করে সংগীতচর্চা করতে থাকেন নোবেল। বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন। কিন্তু তার পাশাপাশি জানা যাচ্ছে যে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেক চুক্তি বাতিল করেছেন নোবেলের সঙ্গে। কিন্তু কিসের জন্য বাতিল করছে চুক্তি?এবারে ‘নগর বাউল’খ্যাত গায়ক জেমস ও জনপ্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবুকে নিয়ে নোবেলের আপত্তিকর স্ট্যাটাসে সমালোচনার ঝড় বইছে নেটদুনিয়ায়।

এদিন ফেসবুকে নিজেই নিজের মানসিক চিকিৎসার কথা স্বীকার করে নোবেল বলেছেন, তিনি নোবেল হতে পেরেছেন মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য। তিনি নিজে বুঝতে পেরেছেন যার জন্য তিনি বিখ্যাত গায়ক জেমস, তাপস, সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ুন, সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছির- কে ভাই সম্বোধন করে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন নোবেল।

গায়ক নোবেল সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখেন,”আমি মাঈনুল আহসান নোবেল! আমি আপনাদের নোবেল! আজ আমি নোবেল হতে পেরেছি আপনাদের ভালবাসা, সমর্থন ও দোয়ায়। দুই বাংলার অসংখ্য বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য গান গাইতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি আমার দেশ বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বাংলা গানের ভক্তদের জন্য মৌলিক গান নিয়ে ফিরে আসতে চাই আপনাদের মাঝে।”

পাশাপাশি আরো বলেন,”আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আমার পেজে সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস দেই বা কথা বলি। মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি অনেক সময় ফেসবুকসহ আমাদের মিথষ্ক্রিয়ার (Interaction) বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আমার অনেক পোস্ট এই বিচ্যুতির ফল। আমি বিশ্বাস করি আমার পোস্ট অনেককেই ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সমষ্টিগত ভাবে সম্মানিত নেটিজেনদের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিখ্যাত লেজেন্ড শ্রদ্ধেয় জেমস ভাই, শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় তাপস ভাই, প্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবু ভাই, সুপ্রিয় সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ন ভাই, সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছির ভাইসহ সকল সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে ক্ষমা চাই ও আমার পোস্টের মাধ্যম যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে দুঃক্ষ প্রকাশ করি। আমি এই মুহূর্তে আমার মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি নিয়ে কন্সার্নড। আমার পরিবারের সমর্থনে আমি চিকিৎসা গ্রহন করছি ও আল্লাহর রহমতে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে নতুন গান নিয়ে ফিরে আসবো।”

“আমি যেহেতু বাংলাদেশের সাইবার আইন ও পুলিশের সাইবার ইউনিটের কার্যক্রম বিষয়ে সচেতন, আমি সচেতনভাবে দেশের আইন বা নৈতিকতার বাইরে কিছু করতে চাই না বা আর করবো না, তারপরও আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মের জন্য যে কোন আইনি ব্যবস্হা নেয়া হলে তা মাথা পেতে নেব। আমিও আশা করবো আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।
ভাল থাকুক নোবেল, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সাইবার স্পেস, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সংস্কৃতি।
ভাল থাকুন আপনারা সবাই। আল্লাহ সহায়!!”

Back to top button