বিনোদন

‘আমার জীবনে তোমার মতো ছিটিয়ালকেই চাই’ অবশেষে গুনগুনকে ভালোবাসার কথা জানালেন সৌজন্য

ষ্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’। এটি সকলের প্রিয় একটি ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকটি একটি একান্নবর্তী পরিবারকে ঘিরে। গল্পে একটি সাধাসিধে, ভোলাভালা মেয়ে গুনগুন নিজের ইচ্ছে মতোন এগিয়ে চলে জীবনের পথে। কিন্তু হঠাৎ করেই তার সাথে দেখা হয় সৌজন্যের। গল্পে সৌজন্য যে কিনা পুরো উল্টো। গুনগুন যেরকম হাসিখুশি থাকে অপরদিকে সৌজন্য গোমড়া মুখ কিন্তু লেখাপড়ায় ভালো। আর গোমড়া মুখ একদমই পছন্দ করেন না গুনগুন।

সৌজন্যের সাথে গুনগুনের বিয়েটাও গুনগুনের বাবার ইচ্ছেতেই হয়। গুনগুন প্রথমে বিয়ে করতে চাইছিলো না। কিন্তু তার বাবার কথা অনুযায়ী ৩৬৫ দিনের জন্য সৌজন্যকে বিয়ে করে গুনগুন। কিন্তু বিয়ের আগে থেকেই নানান ঘটনার মধ্যে দিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকের মন জয় করে নেয় গুনগুন। তারা সকলে গুনগুনকে খুব ভালোবাসে।

এসবের মাঝেও চলে তাদের মধ্যে নানান ম্যান অভিমানের পালা কখনও টেডি না পেয়ে সৌজন্যের হাত জাপটে ঘুমানো আবার কখনোও ভুতের ভয়ে সৌজন্যেকে জড়িয়ে ধরা এই ছোট ছোট ঘটনাগুলি কোথায় যেন সেই ৩৬৫ দিনের শর্তকে দূরে সরিয়ে একে অপরকে কাছাকাছি এনে দেয়। মাঝখানে গল্পের মোড় ঘুরে যায়। সৌজন্যের উপর অভিমান করে গুনগুন চলে যায় তাঁর বাবার কাছে। এরপর সৌজন্য সহ বাড়ির সকলে মিলে তাঁকে ফিরিয়ে আনে। তাদের দুজনের কেউই শিকার না করলেও তারা একে ওপরের প্রেমে পরে গেছে।

কিন্তু তাদের সেই ভালোবাসার কথা প্রথমে শিকার না করলেও। সৌজন্য পরে শিকার করে নিয়েছে। সম্প্রতি সিরিয়ালেরই একটি ভিডিও ক্লিপ ‘খড়কুটো ইনফিনিটি’ নামের একটি পেজ তাঁদের ইন্সট্রাগ্রাম পেজে পোস্ট করেছেন। সেখানে সৌজন্যকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘ভাগ্গিস তুমি একটু ছিটিয়াল, বুদ্ধি কম, বন ইডিয়ট টাইপের আর একটু গবেটও।তা নাহলে কোনো বুদ্ধিওয়ালা মেয়েকি আর আমার পরিবারকে এমন আপন করে নিতে পারতো? পারতো না।তাই বলছি আমার জীবনে এমন ছিটিয়াল, গবেট, বর্ন ইডিয়ট মেয়েকেই পছন্দ’। আর তারপরই দেখা যায় গুনগুন মুখ ভেংচায় সৌজন্যেকে আর যেটা সৌজন্যের বেশ পছন্দ হয়। আর তা সোনার পর একে ওপরের সাথে খুনসুটিতে মেতে ওঠে। আর এদিকে সৌজন্যের মনে যে পুরোপুরি গুনগুনই আছে তা বুঝতে আর বাকি নেই।

Back to top button