বিনোদন

‘রোজ রাতে বাড়ি ফিরে কাঁদতাম, ভেবেছিলাম, আমি ফুরিয়ে গিয়েছি…’ স্বীকারোক্তি দিলেন আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট বলে পরিচিত আমির খান। তিনি ম্পদায় এসেছিলেন যখন তখন তার সৌন্দর্য্য ও অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিল ছবির নায়িকা থেকে শুরু করে সিনেমা প্রেমী মানুষরা। কিন্তু তার ক্যারিয়ারেও যে ছিল চোরাই উৎরাই পথে বাধা তা স্বীকার করলেন আমির খান নিজেই। আমির খান এবার একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে মুখ খুললেন।

বলিউডের প্রথম ছবিতেই সুপারহিট নায়কের তকমা পান আমির খান। তার অভিনীত৬ প্রথম ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সেই সময় হয়েছিল ব্লকবাস্টার হিট। এরপর তিনি বলিউডে একের পর এক সুপারহিট সিনেমা দেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জো জিতা ওহি সিকান্দার, দিল, রাজা হিন্দুস্তানি লাগান, দিল চাহতা হ্যায়, রং দে বাসন্তী, ফানা, থ্রি ইডিয়টস এর মত ছবি।

তবে তার অভিনয় জীবনের পুরো যাত্রাটা এতো সহজ ছিলোনা যতটা আমরা ভাবি। কারণ বক্সঅফিসে সাফল্যের পাশাপাশি একসময় আমির খান কেও দেখতে হয়েছিল ফ্লপের লাইন। সেই প্রসঙ্গে আমির খান এক সাক্ষাৎকারে বলেন ‘‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবির সাফল্যের পর আমি ৮-৯টি ছবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সেইসময় আমি সব পরিচালকদের চিনতাম না। ছবির গল্প দেখেই অভিনয়ে রাজি হই। কিন্তু ছবিগুলি পর পর মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। আমার কেরিয়ার নষ্ট হতে বসেছিল। মনে হচ্ছিল আমি চোরাবালিতে তলিয়ে যাচ্ছি। আমি খুশি ছিলাম না। রোজ রাতে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করতাম।’

তিনি সেই সাক্ষাৎকারে আরো বলেন ‘ তিনি গল্প শুনেই যেকোনো ছবিতে সাইন করে ফেলতেন বাছ বিচার করতেন না। আর তারফলেই তার অভিনীত ছবি গুলো একসময় একের পর এক ফ্লপের মুখ দেখে। আর তখনি তিনি সিদ্ধান্ত নেন এরপর থেকে তিনি বেছে বেছে ছবিতে কাজ করবেন। আর সেই সিদ্ধান্তই তার কাছে সাফল্যের চাবি কাঠি হয়েভ যায়। এখনো তিনি বছরে একটি অথবা দুটির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন না। তার অভিনীত ছবি গুলি বেশিরভাগ মানুষের মনে দাগ কেটে যায়। তারমধ্যে ‘তারে জমিন পর’ ও ‘থ্রি ইডিয়ট ‘ অন্যতম উল্লেখযোগ্য সিনেমা।’

Back to top button