ক্লাস 7-এ পড়তে প্রথম আলাপ, তারপর ব্রেক আপ, রুবেল-শ্বেতার প্রেমকাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে
অনেক বাংলা ধারাবাহিকের তারকারা বছরের পর বছর কাজের কারণে তাদের সহ-অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের প্রেমে পড়েছেন। শুধু প্রেম নয়, কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ক আবার বিয়েতে পরিণত হয়েছে। জি বাংলার যমুনা ঢাকি চ্যানেলের নায়ক-নায়িকা রুবেল দাস ও শ্বেতা ভট্টাচার্যের প্রেমের গল্প একই রকম।
তবে শোয়ের সেটে তাদের প্রথম কথোপকথন এমন নয়। আসলে ছোটবেলা থেকেই তারা একে অপরকে চেনেন। বাংলা ধারাবাহিকের এই জনপ্রিয় জুটি অন্য তারকাদের মতো নিজেদের সম্পর্ক গোপন করেননি। গত বছর তারা তাদের প্রেমের ঘোষণা দেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন তারা।
তবে রুবেল এবং শ্বেতার কীভাবে কথা বলেছেন তা নিয়ে ভক্তদের ভুল ধারণা রয়েছে। তারা ভেবেছিল সিরিজের সেটে তাদের প্রথম কথোপকথন হয়েছিল। কিন্তু এটা সত্য না. সিরিজে আসার অনেক আগে থেকেই দুজনেই একে অপরকে চিনতেন। জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণিতে তাদের প্রথম দেখা হয়।
হাইস্কুলে ক্লাস সেভেনে থেকে দুজনে একসাথে আছে। তারপর তারা একই নাচের স্কুলে প্রবেশ করে। যদিও তখন তাদের মধ্যে প্রেম ছিল না। তখন তারা শুধুই বন্ধু। এরপর রুবেল তার নাচের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে মুম্বাই চলে যান। অন্যদিকে, শ্বেতাও তার পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দুই বন্ধুর মধ্যে সাময়িক বিচ্ছেদ হয়।
এরপর দুজনেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু স্বেতার প্রেম ভেঙে যায় যখন তিনি টিভি সিরিজ যমুনা ডাকাইতে অভিনয় করেন। এরই মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন রুবেল। এরপর তিনি তার বান্ধবী ও ছোটবেলার নায়িকাকে প্রস্তাব দেন। যদিও প্রথমে স্বেতলানা রুবেলের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। কারণ প্রথম সম্পর্কের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার স্মৃতিতে ভেসে ওঠে।
অন্যদিকে স্বেতা ও রুবেলের পরিবার তাদের দম্পতিকে পছন্দ করতে শুরু করে। স্বেতলানা বলেছেন যে তার বাবা-মা তাদের মেয়ের জন্য রুবেল পছন্দ করতেন। এরপর আর ভাবলেন না এই অভিনেত্রী। তারা বলছে কয়েক বছরের মধ্যেই বিয়ে হবে। দুজনেই আগে কাজ করতে চান।