ভারতীয় গায়ক ইয়ো ইয়ো হানি সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী শালিনী তালওয়ার। মামলায় হানি সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন ও মানসিক অত্যাচার, পারিবারিক সহিংসতা, একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি হানি সিং-এর বাবা অর্থাৎ শালিনী তার শ্বশুরের ওপরও যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন।
বলিউডের আনাচে কানাচে কান পাতলেই এরকম নানান খবর জানতে পারা যায়। এটাই প্রথম নয় গার্হস্থ্য হিংসার মামলা। এর আগেও বহু প্রভাবশালী তারকা এমন অভিযোগের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। জানা যায় যে শালিনী তার স্বামী হানি সিং-এর বিরুদ্ধে ১২০ পাতার একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে গার্হস্থ্য হিংসা থেকে মহিলাদের সুরক্ষা আইনে একটি আবেদন জমা করেছেন শালিনী। হানি সিং-এর বিরুদ্ধে তিনি গার্হস্থ্য হিংসা, যৌন হেনস্থা ও সম্পত্তি থেকে বঞ্চনার শিকারের অভিযোগ এনেছেন শালিনী। 3 রা অগস্ট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সিনহা -র এজলাসে শালিনীর মামলা উঠেছিল।
হানি সিংয়ের শালিনী জানিয়েছেন যে ২০১১ সালে শালিনী ও হানি মরিশাসে হানিমুন করতে গিয়েছিলেন। তারা ভালোবেসে বিয়ে করলেও সেখানে গিয়ে তার আচরণ বদলে যায়। শালিনী এই ব্যাপারে হানিকে প্রশ্ন করলে হানি তাঁকে বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, তিনি শালিনীকে বিয়ে করতে চাননি। হানি শালিনীকে জানিয়েছিলেন যে তিনি শুধুমাত্র কথা দিয়েছেন জন্য বিয়ে করেছেন। শুধু তাই নয় হানি তার স্ত্রী শালিনীকে কোথাও নিয়ে যেতেন না। হানির স্ত্রী জানিয়েছেন হানির সাথে একাধিক মহিলার শারীরিক সম্পর্ক ছিল।
শালিনী জানান যে একবার তিনি হানির ফোনে অন্য এক মহিলার সাথে আপত্তিকর ছবি দেখেছিলেন হানির। তারপর প্রশ্ন করায় রেগে গিয়ে শালিনীকে মারধর করেন হানি। এরপর থেকেই ভিন্ন সময়ে ভিন্ন মহিলাদের সঙ্গে হানির ছবি দেখেছিলেন শালিনী। এমনকি নিজের বিয়ের কথা লুকিয়ে রাখতে চাইতেন হানি। তবে ২০১৪ সালে একটি একটি গানের রিয়্যালিটি শো অনুষ্ঠানে তার স্ত্রীকে আনেন। আর তাই তিনি নিজের বিয়ের কথা লুকিয়ে রাখতেন। একবার শালিনী ও হানির বিয়ের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেলে শালিনীকে সন্দেহ করে শারীরিক নির্যাতন করেছিলেন হানি। এই ঘটনার পর হানি তার বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে সেই ছবিগুলিকে এডিট করে অন্য রূপ দিয়েছিল। ফলে সেই ছবিগুলি দেখে মনে হচ্ছিল কোনো ফিল্মের সেটে তোলা হয়েছে।
View this post on Instagram
এরপর আরও জানা যায় যে হানির বাবা শালিনীর সাথে শারীরিক অত্যাচার করতেন। শালিনী জানিয়েছেন, একবার তাঁর পোশাক পরিবর্তনের সময় মত্ত অবস্থায় তাঁর শ্বশুর শালিনীর ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। শালিনী তাঁকে বেরিয়ে যেতে বললেও তিনি বেরিয়ে না গিয়ে শালিনীর উপর যৌন হেনস্থা করেছিলেন। এদিন শালিনীর তরফ থেকে আদালতে হাজির হয়েছিলেন ৩ আইনজীবী। আদালত হানি সিং-কে ২৮ শে অগস্টের মধ্যে জবাবদিহির নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও শালিনীর পক্ষে আদালত একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছে যার সারমর্ম অনুসারে, আপাতত হানি সিং তাঁদের যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন না।
