টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী। নিজের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নিজের বেশ কিছু দিক তুলে ধরেছেন। এর মধ্যেই ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে ডিগ্রী অর্জন করেছেন ঋতাভরী। এছাড়াও সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি বেশ সক্রিয়।
শোনা যাচ্ছে ২০২২ সালের শুরুতেই নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। চলতি বছরের শেষে হবে এনগেজমেন্টও। আপাতত টলিউডের আনাচে কানাচে এমনি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ।সূত্রের খূবর, ডাক্তার-বন্ধু তথাগত চট্টোপাধ্যায়কেই নাকি বিয়ে করতে চলেছেন ঋতাভরী ।তথাগত পেশায় মনোবিদ।ব্যাবসায়ী পরিবারের ছেলে।যদিও ঋতাভরীর সঙ্গে তথাগতের আলাপ মাত্র কয়েক মাসের । তবে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে খুশি দু’জনেই।
তথাগতর সঙ্গে পরিচয়ের ঘটনা জানিয়ে ঋতাভরী বলেন, ‘এ বছরের প্রথম দিকে ওর ক্লিনিক উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। ও পেশায় একজন মনোবিদ। সে সময়ে ওরও অন্য বান্ধবী ছিল। আমরা প্রথমেই খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। অবশ্যই বলতে হবে, বাঙালি ছেলেকে ডেট করার অন্য আরাম আছে। বাংলায় কথা বলা যায়। সেই সঙ্গে রুচি, শিল্পবোধ এ সবের মিল তো রয়েছেই।’
তিনি বলেন, ‘সে অর্থে ডেট করা অর্থাৎ দেখা করা, কফি খেতে যাওয়া; এ সব আমাদের হয়নি বললেই চলে। যখন ওকে ভাল করে চিনতে শুরু করেছি, তখন আমি শয্যাশায়ী। দ্বিতীয় সার্জারির পরে ও আমার বাড়িতেই আসত দেখা করতে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি আমরা কাছাকাছি এসেছিলাম। ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করলাম, আমিও কারও ওপর নির্ভর করতে পারি।’
বিয়ের আগে কিছু দিন একসঙ্গে থাকতে চান ঋতাভরী। এটাই ছিল তার প্রথম শর্ত। এ জন্য দুই পরিবারকেই মানিয়ে নিতে হয়েছে তাদের। অভিনেত্রী বলেন, “সত্যি বলতে, এর আগে কাউকে দেখে মনে হয়নি, তার সঙ্গে সংসার করতে পারব। তবে আমার কিছু বলার আগেই হঠাৎ একদিন ও-ই বলল, ‘তুমি পাশে থাকলে তোমার প্রতি কেমন যেন বউ বউ ফিলিং আসে।’ আমার একটাই শর্ত ছিল, যাকে বিয়ে করব, বিয়ের আগে তার সঙ্গে কিছু দিন থাকতে চাই। কিন্তু দুই বাঙালি পরিবার ব্যাপারটাকে কী ভাবে নেবে জানি না। তাই ঠিক হল, এ বছর ডিসেম্বরে বাগদান করে আমরা একসঙ্গে থাকব আমার বাড়িতে। কোভিড পরিস্থিতি ঠিক হলে পরের বছর বা তার পরের বছর জাঁকজমক করে বিয়ে করব। বিয়ের পরে অবশ্য সল্টলেকেই নতুন একটা বাড়িতে থাকব, যেটা আমাদের দু’জনের বাড়ি থেকেই কাছে হবে।”
