হাসিখুশিতে কাটছে দাম্পত্য জীবন ‘শ্রীময়ী’র ডিঙ্কা ও পুটু পিসি’র! পূর্ণ হল সোহিনী-সপ্তর্ষির বিয়ের আট বছর

জীবনে বাঁচতে গেলে ভালোবাসার প্রয়োজন হয়। কারণ টাকা থাকলেও মানুষ কষ্ট পায় ভালোবাসার অভাবে। নিজের প্রতি ভালোবাসার মূল সূত্র ধরেই মানুষ তার বাবা-মা, ভাইবোন, সন্তানসন্ততি, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবকে ভালোবাসে। তবে ভালোবাসা কিন্তু অন্ধ ভালোবাসা কোনো জাত-পাত বা উঁচু নিচু ধনী কিংবা গরিব দেখে হয়না। এই একে অপরের মিলন থেকেই ভালোবাসা জন্মায়। এবার একটি অন্যরকম ভাবলাবাসার গল্প ‘শ্রীময়ী’র ডিঙ্কা ও ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের পুটু পিসির মধ্যে। তাদের দীর্ঘ আট বছরের সুখী দাম্পত্য।

শ্রীময়ী ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক। আরেকজন হলেন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের ‘পুটু পিসি’ অর্থাৎ সোহিনী সেনগুপ্ত। আসলে বাস্তব জীবনে এই দুইজন স্বামী-স্ত্রী। এদের মধ্যে বয়সের তফাৎ প্রায় ১৪ বছরের। কিন্তু তাদের দুজনেরই অভিনয়ের দক্ষতা ভালোই। না জোর করে নয়, ১৪ বছরের বড় শিক্ষিকা সোহিনীরই প্রেমেই পড়েছিলেন একসময় সপ্তর্ষি। দুজনেই পেশায় নাট্যশিল্পী। আর সেই নাট্যমঞ্চের ধীরে ধীরে তাদের প্রেম হয়ে যায়। সপ্তর্ষি তখন নতুন, সবে অভিনয় হাতেখড়ি হচ্ছে তাও আবার সোহিনীর বাবার মাধ্যমে, কেননা সোহিনীর বাবা ছিলেন একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। সেই সময় অভিনেত্রী সপ্তর্ষি সোহিনীকে দেখে ভুলে গেলেন বয়সকে, আর ছাত্রের প্রেমে পড়লেন শিক্ষিকাও, ভুলে গেলেন বয়স, জাত, উচ্চতা, গঠনের গন্ডী।

সেই সময় তাদের সেই সম্পর্কটা পূর্ণতা পেতে শুরু করে। মাত্র তিন মাস প্রেম করার পর ২০১৩ সালের ২রা অগস্ট তড়িঘড়ি রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সেরে নিয়েছিলেন তাঁরা। তাদের এই সম্পর্কে বয়সের তফাতের জন্য অনেকেই তাদের নানাভাবে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু কারুর কোনো কথায় কান না দিয়ে হেসে খেলে কাটিয়ে ফেললেন দাম্পত্যের দীর্ঘ আট বছর। সপ্তর্ষি ও সোহিনী প্রমান করে দিয়েছেন যে সম্পর্কের কোনো বয়স হয় না।

দীর্ঘ আট বছরের দাম্পত্য জার্নিতে তারা নিজেদের বিবাহবার্ষিকী পালন ক্র৫এন তারা নিজেদের মত করেই। এবছরও তাই সকাল সকাল শুটিং সেরে নিয়েছেন দুজনেই। বিশেষ দিনে কাছের মানুষের জন্য বিশেষ উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সপ্তর্ষি। একটি সংবাদমাধ্যমে সপ্তর্ষি জানিয়েছেন, “আমরা দু’জনেই নানা রকম জিনিস কিনতে ভালবাসি। কিছু কিনব হয়তো। সোহিনী পারফিউম ভালবাসে, ওকে পারফিউম কিনে দিতে পারি।” এদিন ছবি পোস্ট করে সপ্তর্ষি ক্যাপশন দিয়েছেন,”শুভ বিবাহবার্ষিকী ক্যাপ্টেন।” তাদের এরকম সম্পর্ক দেখে অনেকেই বেশ খুশি। এরকম ভালোবাসা যেন বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে।