বিনোদন

শাহরুখের থেকে ধার নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি!

শাহরুখ খান, তিনি নাকি বলিউডের অলিখিত ‘বাদশা’। অনেকে আবার তাকে ‘কিং খান’র তকমাও দিয়ে ফেলেছেন। তা নিন্দকেরা বলতেই পারেন, এ সব তকমার সবটাই তো শাহরুখের জনপ্রিয়তার ফসল। ওসব মিডিয়ার দৌলতে জোটানো। হিংসুটেরা বলতেই পারেন, বক্স অফিসের খেলায় ভাগ্য বদলাতে দেরি হয় না! তবে শাহরুখ ভক্তরা পাল্টা তর্ক জুড়তেই পারেন, খানসাহেব যে কতো শক্তিধর, তা কি জানেন!

শাহরুখ কতোটা শক্তিধর, তা মেপে দেখার যন্ত্র আবিষ্কার হয়নি বটে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নাকি তিনি একবার ধার দিয়েছিলেন। আর তার থেকেই আপনি নিজেই বুঝেনিন বলিউড বাদশা কতটা শক্তিশালী !

প্রধানমন্ত্রীকে ধার? দিয়েছেন এমনি দাবি উঠে আসছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। তবে টাকাপয়সা নয়। মোদিকে নাকি আস্ত একটি গাড়ি ধার দিয়েছিলেন খানসাহেব। তাও আবার যে সে গাড়ি নয়। নিজের শখের গাড়ি।

যে গাড়ি নিয়ে এতো কাণ্ড, সেই ঘটনাটাই জেনে নেওয়া যাক শাহরুখের কাছে একটি লিমুজিন রয়েছে। ওই যে হলিউডি ফিল্মে দেখা যায় না, সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে বড় বড় সব মেশিনগান হাতে মাফিয়ারা বসেন কালো কাচ ঢাকা গাড়িতে, খানিকটা সে রকম। তবে শাহরুখের লিমুজিন হলিউডের মারকাটারি ফিল্মের দেখানো গাড়িগুলোর থেকেও বড়সড়। লম্বায় প্রায় ১০০ মিটার।

২০১৪ সালে সেই লিমুজিনে চড়েই দুবাইতে নিজের একটি রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শাহরুখ এবং গৌরী খান। ‘রয়্যাল এস্টেট বাই শাহরুখ খান’ নামের ওই প্রকল্পটি নাকি ২৪ লক্ষ বর্গফুটের ছিলো। সৌদির মুদ্রায় সে সময় প্রকল্পের দর ছিলো ২৩০ কোটি দিরহাম। ভারতের তো বটেই পাকিস্তান, কানাডা এবং গ্রেট ব্রিটেনের বড় বড় ব্যক্তিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।

সেই লিমুজিন গাড়িটি নাকি মোদিকে ব্যবহারের জন্য ধার দিয়েছিলেন শাহরুখ। ২০১৮ সালে। কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে তাতে চেপে গ্রেট ব্রিটেনে গিয়েছিলেন মোদি।

৫২টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই সম্মেলনে লিমুজিনের মতো লাক্সারি সেডানে চড়েই যেতেন মোদি এবং তা নাকি শাহরুখের গাড়ি। আর সবচেয়ে মজার কথা হলো , নিজের পরিবারের সদস্য ছাড়া মোদিই নাকি একমাত্র ব্যক্তি যিনি শাহরুখের লিমুজিনে চেপেছিলেন!

প্রধানমন্ত্রীর যাতাযাতের জন্য নিজস্ব কনভয় রয়েছে। তা তিনি সে সব বাদ দিয়ে শাহরুখের লিমুজিনের চড়তে গেলেন কেন? এ প্রশ্ন করতে পারেন। তবে দু’পক্ষই তা নিয়ে কিছু খোলসা করেননি। মৌন থাকাই কি সম্মতির লক্ষ্মণ?

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

Back to top button