বনগাঁর মিষ্টি মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলাল। ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে অরুণিতা সিজেন ১২ এর একজন অন্যতম প্রতিযোগী। অরুণিতা এর আগেও জী বাংলা লিটল চ্যাম্প এ অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেও উইনার হয়েছিলেন তিনি। বর্তমান ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে সে সেরা ৫ জনের মধ্যে একজন। ছোট বেলা থেকে গানকে খুব ভালোবাসতেন অরুণিতা।
সকলের ভিতরেই স্বপ্ন থাকে। বনগাঁর মেয়ে অরুনিতাও নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছিলেন ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর মঞ্চে। নিজের লক্ষের দিকে এগোতে এগোতে স্বপ্ন পূরণ করে ফেললেন অরুনিতা। হিমেশ রেশামিয়ার সুরে, পবনদ্বীপের সঙ্গে জুটিতে ‘তেরি উমিদ’ গেলেন অরুণিতা। গত বৃহস্পতিবারই ছিল হিমেশ রেশমিয়ার জন্মদিন। নিজের জন্মদিনের দিন রিটার্ন গিফ্ট হিসেবে এই গান তুলে দেন হিমেশ। এই দিন ওই দুই তরু শিল্পীর সাথে তৈরী নতুন অ্যালবাম প্রকাশ্যে আনলেন হিমেশ। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও হিমেশ রেশামিয়ার ‘মুডস অ্যান্ড মেলোডিজ’ অ্যালবামে গান গেয়েছিলেন অরুণিতা কাঞ্জিলাল ও পবনদ্বীপ রঞ্জন।
জনপ্রিয় গায়ক হিমেশ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গানের এক ঝলক শেয়ার করে লিখেছেন,”জন্মদিনে আমাকে এভাবে উষ্ণ শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার লেখা ও সুর করা ‘তেরি উমিদ’ গানটি ‘হিমেশ কি দিলসে’ অ্যালবাম থেকে প্রকাশিত হল। গেয়েছেন পবনদ্বীপ ও অরুণিতা। আপনারা সবাই আশা করি এই গানটিকে ভালোবাসা দেবেন।” একটা সময় হিমেশকে প্যায়ার কিয়া তো ডর না কিয়া সিনেমার জন্য সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জতিন-ললিত এবং সাজিদ-ওয়াজিদ এর সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেন সালমান খান। সংগীত পরিচালক হিসেবে হিমেশ বেশ সফলতা পেয়েছিলেন ২০০৩ সালে ‘তেরে নাম’ সিনেমার মাধ্যমে। এছাড়াও সালমান খানের সাথে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘বডিগার্ড’ ও অন্যান্য ছবিগুলোয় গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বর্তমান হিমেশ রেস্মিয়ার ঝুলিতে রয়েছে প্রচুর গান।
View this post on Instagram
অরুণিতা বনগাঁয় এক বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অরুণিতা। ছোটবেলা থেকেই অরুণিতা পড়াশোনার পাশাপাশি গানের ট্রেনিং শুরু করেন পুনের রবীন্দ্র গাঙ্গুলীর কাছে। অবশ্য তার গানের শুরু হয় তার মামার কাছ থেকেই। তার গানে ফিদা হয়ে গেছেন রেখাজি থেকে এ আর রহমান প্রত্যেকেই। বয়স কম হলেও তার অসাধারণ গান বিচারক থেকে সকল দর্শকদের মন জয় করেও নিয়েছেন।
