বিনোদনলাইফস্টাইল

সাবধান! পুরুষালি চেহারা বানাতে গিয়ে, বাবা হবার ক্ষমতা হারাচ্ছেন না তো? সতর্ক করলো গবেষকরা

নিজেকে যৌন আবেদনময় হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে বাবা হবার ক্ষমতা হারাচ্ছেন কিছু পুরুষ। সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমনটাই জানিয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অত্যন্ত পুরুষালী হিসেবে পরিচিত পুরুষেরা অনেক সময়ই নিজেকে আরো যৌনআবেদনময় ও পুরুষ-দীপ্ত হিসেবে তুলে ধরতে গিয়ে যেসব কৃত্রিম পদ্ধতির সাহায্য নেন, তা কেড়ে নিচ্ছে তার পুরুষত্ব।

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শরীরকে পেশীবহুল করতে গিয়ে পুরুষেরা যেসব স্টেরয়েড ব্যবহার করেন, তা তাদের শরীরে শুক্রাণু সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।

এছাড়া মাথার চুল কমে যাওয়া ঠেকাতে অর্থাৎ টাক হয়ে যাওয়া রোধ করতে গিয়ে যেসব চিকিৎসা নেন পুরুষরা তাও কমায় তাদের শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেমস মোসাম জানিয়েছেন, নিজেদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা পরীক্ষা করাতে আসা পুরুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তিনি বিস্ময়ের সঙ্গে খেয়াল করে দেখেছেন, এই পুরুষদের প্রায় সবার মধ্যেই স্টেরয়েডের অতি ব্যবহার ছিল একটি সাধারণ বিষয়। তারা সবাই পেশীবহুল শরীর তৈরি এবং মাথায় কৃত্রিম উপায়ে চুল বাড়ানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করেছেন।

অধ্যাপক ড. জেমস মোসাম বলেছেন, এর ফলে তাদের শুক্রাণু সংখ্যা এত কমে যায় যে তারা একেবারেই সন্তান উৎপাদন করতে পারছিলেন না।

পেশল শরীর বানানোর জন্য যে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ব্যবহার হয়, তা পুরুষের হরমোন টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বাড়ানোর কথা। কিন্তু অ্যানাবলিক স্টেরয়েডের কারণে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্লান্ড শুক্রাণু তৈরির দুটি মূল হরমোন এফএসএইচ ও এলএইচের উৎপাদন কন্ধ করে দেয়।

একই ঘটনা ঘটে যখন টাক ঠেকানোর জন্য তৈরি ওষুধ ব্যবহার করে কোন পুরুষ।

ড. মোসাম বলছেন, এর ফলে একজন পুরুষ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন। এটা একটা আজব বিষয় যে পুরুষ নারীকে আকর্ষণ করার জন্যই জিমে যাচ্ছেন, স্টেরয়েড নিচ্ছে, কিন্তু শেষ বিচারে তা তাকে পুরুষত্বহীন করে দিচ্ছে।

তিনি বলছেন, এই প্রবণতা বন্ধের উপায় সম্পর্কে পুরুষদের সচেতন হতে হবে।

Back to top button