বলিউডের জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অনিল কাপুর। ৯০-এর দশকের সিনেমায় তিনি একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে রাজ করেছিলেন রুপোলি পর্দাতে। তার অভিনীত ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমা সেই সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর তার ‘মাই নাম ইজ লক্ষণ’ গানের সাথে নাচ এখনো তার পরিচয় করিয়ে দেয় বাকিদের কাছে একজন সুপারস্টার হিসেবে।প্রায় ১০ বছর ধরে এক কঠিন রোগের সঙ্গে রোজ লড়াই করে যাচ্ছেন অনিল কাপুর।
অভিনেতা ৬৩ বছর বয়সে পৌঁছেও এখনো ফিট আছেন। কিন্তু তার শারীরিক অসুস্থতা অনেকদিন থেকেই। তার এই অসুস্থতার কথা সকলেরই অজানা। এখনও তাকে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, তবে তাঁর ব্যাধির বিন্দু বিসর্গ আঁচ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ঠিক কি হয়েছিল অভিনেতার? অভিনেতা নিজেই চিন্তাহগ্রামে জানিয়েছেন,”আমি গত ১০ বছর ধরে অ্যাকিলিস টেন্ডন ইস্যুতে ভুগছি। গোটা বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ চিকিৎসকই আমায় বলেছেন অস্ত্রপচারই একামাত্র উপায়।”
তার এই কঠিন রোগের ব্যাপারে তিনি আগে জানাননি। কিন্তু এখন কথা হল তার এই কঠিন রোগ অ্যাকিলিস টেন্ডন কী? অ্যাকিলিস টেন্ডন হ’ল গোড়ালির হাড় সঙ্গে পেশীগুলির সংযোগকারী তন্তুযুক্ত টিস্যু।এই টিস্যু বেশি ক্ষয় হয়ে গেলে হাঁটাচলা অসুবিধা দেখা দেয় ও এক জায়গায় বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে অসুবিধা হয়।পা ভেঙ্গে আসে, অর্থাৎ পায়ের ক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে যায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অনেকসময় অস্ত্রোপচারের পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
চিকিৎসকরা এই রোগের জন্য অনিল কাপুরকে অস্ত্রপ্রচার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু অনিল কাপুর তাতে রাজি হননি বরং তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শরীরচর্চা করেই নিজেকে চলা ফেরা করার মতো ফিট রেখেছেন।বেশির ভাগ সময় তাকে হাঁটতে হয়। বেশিক্ষণ বসে থাকলেই বিপদ বাড়ে তার। রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত যোগ করেন অনিল কাপুর।কিন্তু বর্তমানে তিনি কোনোরকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই সুস্থ আছেন। বর্তমানে তাঁকে পর্দায় দেখা না গেলেও, ২০১৯ এ “এক লাড়কি কো দেখা তো এ্যাসা লাগা” মুভিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বয়স ৬৫ এর কাছাকাছি গেলেও তিনি নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন।
