জীবনে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে অমৃতাকে,মা-বাবার বিচ্ছেদের কথা সকলের সামনে জানালেন সারা আলী খান!

বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা সইফ আলী খান।সইফ আলী খানের মেয়ে সারা আলী খান। সারার বয়স যখন মাত্র ৯ তখনই তাঁর মা অমৃতার সঙ্গে সইফ আলী খানের বিচ্ছেদ ঘটে। মায়ের আদর্শেই বড় হয়ে ওঠে সারা। আর সেই জন্যই বিয়ের পরে মেক একলা ফেলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই সারা আলী খানের। তাঁর ইচ্ছে সে মায়ের সাথেই থাকতে চান।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সারা তাঁর মা বাবার বিচ্ছেদের কথা খোলাখুলি বলেন। সেখানে বলতে গিয়ে অনেক কিছুই বলেন। বলেন যে মা জীবনে অনেক কিছুই সহ্য করেছেন। বহু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁর মা কে কিন্তু কোনোভাবেই ভেঙে পড়েননি। সারা এও বলেন জীবনে অনেক কিছু থাকা সত্ত্বেও অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন তাঁর মা। এর ফলে জীবন নিয়ে যখন হতাশায় ভোগেন তখন ভাবেন যে তাঁর মা তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তিনি ভাবেন মা সবকিছুই ঠিক করে দেবেন, আর সেই আসার আলোতেই নতুন ভাবে কাজ শুরু করেন। “think she has gone through so much more than I have in her life and if she can walk the way she does with her head held as high as she does as her daughter, then I would be worthy of your compliment,”

অমৃতার সঙ্গে সইফ আলী খানের ১৯৯১ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের ঠিক ৫ বছর পোর্ট তাদের প্রথম সন্তান সারা আলী খানের জন্ম হয়। তাদের দ্বিতীয় সন্তান ইব্রাহিমের জন্ম হয় ২০০১ সালে। কিন্তু হঠাৎই ২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে যায়। এরপর অম্রিত আর আসেনি সইফের জীবনে। তারপরে সইফ আলী খান কারিনা কাপুরকে ২০১২ সালে বিয়ে করেন। ২০১৬ সালে সইফ-করিনার ছেলে তৈমুরের জন্ম হয়। এরপর ২০২১-এ কারিনার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়।

সারা আলী খান যেমন একদিকে তাঁর মায়ের দুঃখের কথা সকলের সামনে শেয়ার করেন। তেমনি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা সইফ আলী খান বলেন,”তখন আমার বছর কুড়ি। অমৃতাকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকেই পালিয়ে যাই। বয়সটা নেহাতই কম। সুতরাং বুঝতেই পারছেন দায়িত্ব নেওয়ার মতো বোধ আমার তৈরি হয়নি। সে সময় অমৃতাই আমাকে শেখায় কী ভাবে কাজ, ব্যবসা সব কিছু গুরুত্ব দিয়ে করতে হয়। অমৃতা আমায় বোঝায় আমি যদি জীবনের ব্যাপারে সিরিয়াস না হই তাহলে কখনই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।”