বিনোদন

যে কারণে ভেঙ্গেছিল ঐশ্বরিয়া ও রানীর বন্ধুত্ব, প্রকাশ্যে গোপন তথ্য

রানী মুখার্জি আর ঐশ্বরিয়া রায় খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু বন্ধুত্ব ভেঙে যায় যখন শাহরুখের ‘চলতে চলতে’ ছবিতে ঐশ্বরিয়ার বদলে রানীকে নেয়া হয়। আর এর পেছনে ছিল সালমানের হাত।

‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শুটিং-এর সময় থেকে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বরিয়া। ২০০২ সালে ব্যক্তিগত নানা সমস্যার কারণে এই সম্পর্ক শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। ‘দেবদাস’ ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে ঐশ্বরিয়াকে মেনে নিতে পারেননি সালমান। এরপর যখন শাহরুখ খানের ‘চলতে চলতে’ ছবির শুটিং শুরু করেন ঐশ্বরিয়া, তখন শুটিং সেটে নানা অপ্রীতিকর আচরণ শুরু করেন সালমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শুটিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন পরিচালক আজিজ মির্জা।

পরে শাহরুখের কাছে সালমান ও ঐশ্বরিয়া দুজনেই ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু ঐশ্বরিয়া হঠাৎ জানতে পারেন যে ‘চলতে চলতে’ ছবি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। তার বদলে রানীকে নেয়া হয়েছে।

ঐশ্বরিয়াকে বাদ দেয়ার আগে একবার জিজ্ঞেসও করা হয়নি। হঠাৎ করেই ঘটে যাওয়া এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি ঐশ্বরিয়া। কারণ রানী ও শাহরুখকে তিনি বন্ধু মনে করতেন। অভিনেত্রীর মনে হয়েছে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এই ঘটনার জের ধরে ঐশ্বরিয়া তার বিয়েতে রানীকে আমন্ত্রণ জানাননি। অবশ্য আমন্ত্রণ না জানানোর পেছনের আরেকটি কারণ হতে পারে রানীর সঙ্গে অভিষেকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল একসময়।

এরপর অ্যাওয়ার্ড শো, সিনেমা, প্রেস কনফারেন্স কিছুতেই আর একসঙ্গে দেখা যায়নি ঐশ্বরিয়া ও রানীকে। তবে কোনো সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে কেউই মুখ খোলেননি বা একে অন্যকে দোষারোপ করেননি না। এমনকি রানীকে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বলিউডে তার প্রিয় অভিনেত্রী কে? উত্তরে রাণী বলেন, ‘ঐশ্বরিয়া ও প্রীতি জিনটা’।

Back to top button