বিনোদন

“মা যখন কাঁদতেন, কিছুই করার থাকত না”- জানালেন ক্যান্সার আক্রান্ত হিনা খান

বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার ক্রমশ মহামারির আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা—কেউই এই রোগের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী হিনা খান। তিনি নিজের এই যুদ্ধের কথা সামাজিক.oc মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

মায়ের কষ্ট ও সমর্থন

হিনা জানিয়েছেন, অসুস্থতার এই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে ছিলেন তাঁর মা। তবে মেয়ের এই অবস্থা দেখে মাঝে মধ্যে তিনিও ভেঙে পড়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হিনা বলেছেন, “মা আমার কষ্ট দেখে বারান্দায় ছুটে যেতেন। সেখানে বসে গোপনে চোখের জল ফেলতেন। কখনও সামলাতে না পেরে আমার সামনেও কেঁদে ফেলেছেন। নামাজ পড়ার সময় তাঁর কান্না আরও বেশি হত। আমি নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করতাম, কিন্তু মায়ের কান্না দেখে মাঝে মাঝে আমিও ভেঙে পড়তাম। তবু মা যেভাবে নিজেকে সামলেছেন, তাতে আমার গর্ব হয়।”

বাবার স্মৃতি

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনা মহামারির সময় বাবাকে হারিয়েছেন হিনা। তিনি মনে করেন, বাবা বেঁচে থাকলে তাঁর এই অসুস্থতার খবরে আরও বেশি ভেঙে পড়তেন। হিনার কথায়, “বাবা খুব নরম মনের মানুষ ছিলেন। প্রতিবেশীর করোনা হওয়ার খবরেও তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তেন। আমাকে তিনি রানির মতো রাখতেন। আমার এই কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারতেন না। ভালো হয়েছে, বাবাকে আমার এই অবস্থা দেখতে হয়নি।” তবে এই কঠিন সময়েও বাবার উপস্থিতি অনুভব করেছেন তিনি। “ঘরে কেউ না থাকলে আমি বাবার সঙ্গে কথা বলি। যেখানে বাবা বসতেন, মনে হয় সেখানেই তিনি বসে আছেন,” বলেন হিনা।

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই

হিনা খান ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনার পর থেকে তাঁর চিকিৎসার প্রতিটি ধাপ সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। কেমোথেরাপির কঠিন সময়গুলোতেও তিনি ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তাঁর এই সাহস ও স্বচ্ছতা অনেকের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। হিনা বলেছেন, “এই যুদ্ধে আমি একা নই। আমার পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তরা আমার সঙ্গে আছেন।”

বিশ্বে ক্যান্সারের প্রকোপ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ক্যান্সার এখন বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। হিনা খানের মতো অনেকে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই গল্প সমাজে সচেতনতা বাড়াতে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Back to top button