রাজ্য

মা আই কুইট’ লিখে আত্মঘাতী যুবক: কি কারণে এই পথ বেছে নিল সে!

চুমকি মাইতির রিপোর্ট : শিলিগুড়ির জ্যোতিনগর এলাকার ছেলে সোমনাথ সাহা। স্থানীয় শিলিগুড়ি উচ্চতর বালক বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। এই ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের মতোই সোমনাথের ও চলছিল গৃহবন্দী হয়ে পড়াশোনার লড়াই। মেধাবী ছাত্র ছিল সোমনাথ। পড়াশোনার প্রতি ছিল তার বিশেষ মনোযোগ। তবে কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সোমনাথ? মানসিক অবসাদের জেরেই কি এই ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত সোমনাথের?- উঠছে হাজার প্রশ্ন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেকদিনের মতো মঙ্গলবারও সোমনাথ বাড়ির সকলের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলে, দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে নিজের ঘরে যায়। দুপুর পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। হঠাৎ করেই সাহা পরিবারে নেমে এল দুর্ভোগের চরম বজ্রপাত। মঙ্গলবার বিকেলে ঘরের ভিতর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সোমনাথের দেহ। জানা গেছে, নিজের ঘরে বসে নাকি অঙ্ক কষছিল সোমনাথ। শেষের উত্তরটা অমিল থেকে যায়। অঙ্কের শেষে “মা আই কুইট” লিখে নিজের জীবন থেকে কুইট করল ১৮ বছর বয়সী সোমনাথ। ঘটনার সময় এবং একটা স্মাইলিও আঁকা ছিল তার কথার শেষে।

মেধাবী ছাত্র সোমনাথের ইচ্ছে ছিল পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়া শেষ করে অ্যাস্ট্রোনমি নিয়ে পড়ার‌‌। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৩ শতাংশ। বরাবরই সোমনাথ ভালো ছাত্র। সোমনাথের বাবা সুবীর সাহা জানিয়েছেন, সোমনাথ পড়াশোনা নিয়েই থাকত। নিজের পড়াশোনা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিল। গতকাল দুপুরে বাড়িতে সবার সঙ্গে সময় কাটিয়ে নিজের পড়ার ঘরে গিয়ে পড়াশোনা করছিল। তারপর বিকেল নাগাদ এই ঘটনা। হয়ত অঙ্ক করছিল। সেই অঙ্ক না মেলায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।” সোমনাথের বন্ধু হৃষিরাজ ভাওয়াল বলে, ১৯ শে জানুয়ারি সোমনাথের জন্মদিনের দিন সে জানায় এরপর থেকে টিউশন বন্ধ করে বাড়িতে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সোমনাথ।

স্থানীয় পুলিশ সোমনাথের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় সোমনাথের দেহ বাড়িতে আনা হয়। ঘটনাকে ঘিরে শোকস্তব্ধ জ্যোতিনগর এলাকা। পাশাপাশি মেধাবী ছাত্রের এমন রোমহর্ষক সিদ্ধান্ত নাড়া দিয়েছে সকলকে।

Back to top button