‘নাভি বের করা শাড়ি পরা ছবি দে’ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠল খ্যাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে

পাশ্চাত্যের মি টু আন্দোলনের জোয়ার গত বছরই ভারতের বিনোদন জগতে আছড়ে পড়েছে। বলিউডের পাশাপাশি এবার টালিগঞ্জেও পড়ল সেই ছায়া। গত কয়েক দিন ধরেই মি টু হ্যাশ ট্যাগে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে টালিপাড়া।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে উঠে আসছে একের পর এক বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম। সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় এবং খ্যাতনামা বাংলা ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র গায়ক রঞ্জন ঘোষালের ব্যাপারে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের রেশ মিটতে না মিটতেই অভিযোগ উঠল আরেকজন খ্যাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নাট্যজগতে অতি জনপ্রিয় নাম জগন্নাথ বসু তিনি।
গত মঙ্গলবার সংগীতা নামে এক নারী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন বিশিষ্ট ওই শিল্পীর বিরুদ্ধে। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সংগীতা।
ফেসবুকে একটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় আর রঞ্জন ঘোষালের ভণ্ডামি তো সবাই জানল। জগন্নাথ বসুকে নিয়ে কেউ কিছু বলবে না?
সেই নারীর অভিযোগ, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল দূরদর্শনের চাকরি এবং নিজের নামের অপব্যবহার করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, আরো অনেক মেয়ে ও নারীর সঙ্গে আমি নিজেও ভুক্তভোগী, আমার ২১ বছর বয়সে। দায়িত্ব নিয়ে বলছি।
যদিও খ্যাতনামা এই বাচিক শিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় দুই ভাগ হয়ে গেছে নেটিজেনরা। কেউ কেউ অবশ্য মেনেও নিতে পারেনি। তবে বাংলা সংস্কৃতিজগতেও যে মি টু আন্দোলনের জোয়ার ক্রমাগত জোরাল হচ্ছে, তা বলাই যায়।
অন্যদিকে সুস্মিতা প্রামাণিক নামে এক তরুণী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘আমি তখন ষোল। স্কুলে পড়ি। সিধেসাধা সহজ টাইপ। জীবনের প্রথম প্রেমও তখন সবে সবে হচ্ছিল প্রায়। ফেসবুক জগতে পা রেখেছি সেই বছরই। বড় বড় মানুষদের সান্নিধ্য পেলে ভাবতাম বর্তে গেলাম বুঝি! সেরকমই এক সময় তাঁর সাথে আলাপ। আমি যাকে বলে গদগদ, আহ্লাদিত, গর্বিত প্রাণ। তিনি আমার প্রশংসা করলেন। নিজে থেকে ফোন করেই দরাজ গলায় গান ধরলেন। আমায় ভালোবেসে নাম দিলেন বাবুই। তাঁর নাম হলো মশাই। সে এক অন্য ব্যাপার। বোঝাতে পারব না। এদিকে তাঁর ফোন দিনেরাতে পেয়ে পেয়ে আমার যাকে বলে মাটিতে পা পড়ছে না। তিনি আমার ছবি চাইছেন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে, নাভি বের করা শাড়ি পরা ছবি, বাথরুমের ভেতর থেকে ছবি, শর্টস পরা ফুল লেংথ ছবি। কী ভালোবাসার উন্মাদনা বলুন!