অভিনয়টা এখন শুধুই নেশা নয় পেশাও হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবার ফেডারেশনকে কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে দিলেন গদাই ঠাকুর
লকডাউন যে শুধু সাধারণ মানুষের ঘরে প্রভাব ফেলেছে তা কিন্তু। বলিউড টলিউড ও ছোট পর্দার ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত জাঁয়গাতেই এর প্রভাব পরে গেছে। শ্যুটিং ফ্লোরে ঝুলছে তালা যার ফলে সকল কলাকুশলীরা এখন বাড়িতেই।আগে যা যা শ্যুটিং করা ছিল, সেগুলি এক প্রকার চলছে অল্প অল্প করে। পাশাপাশি দর্শকদের বিনোদনের জন্য অল্প অনুষ্ঠান আর বিজ্ঞাপন দিয়ে সময় গ্যাপ ঠিক করা হচ্ছে।
বর্তমান শ্যুটিং ফ্লোর বন্ধ থাকায় হচ্ছে না নতুন করে শ্যুটিং। যে ফলে ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ করে ধারাবাহিক চালিয়ে যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। শুধু তাই এখানে দেখা দিয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশন-এর জন্য। ধারাবাহিকের ভান্ডার ঘর এখন শূন্য। শ্যুটিং বন্ধ থাকায় আর্টিস্ট ফোরামের সকলে কাজ থেকে বিরত। কিন্তু লকডাউনে তারা কোথায় যাবে শ্যুট ফ্রম হোম করলে মেক আপ আর্টিস্ট, বা অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজন পড়বে না, ফলে তারা উপার্জন থেকে বঞ্চিত হবেন।
লকডাউনের ফলে যারা তথাকথিত বড়লোক বা সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষ অর্থাৎ গ্ল্যামারাস জগতের সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা।সম্প্রতি এমন কঠিন বিরোধ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন পর্দার রামকৃষ্ণ। বর্তমানে সৌরভ সাহা ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ। করুণাময়ী রাণী রাসমণি ধারাবাহিকে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। অভিনেতার মত অনুযায়ী যে শ্যুট ফ্রম হোম বন্ধ হতে দেওয়া উচিত নয়। তাই আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
এর মধ্যেই শ্যুটিং নিয়ে টলিপাড়ায় নানারকম কথা ওঠে। এরপর সরব হয়ে সৌরভ স্পষ্ট হয়ে বলেন, অভিনয় একটা সময় তার প্যাশন ছিল, কিন্তু এখন তা পেশা বটে। এই দিয়েই খান এবং সংসার চালান। অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয়কে পেশা হিসেবেই নিয়েছেন। আর সেই কারণেই চিন্তায় পরে গেছেন তারকারা। অভিনেতা সৌরভের কথা অনুযায়ী,“ফেডারেশন বা ফোরাম কারও বিপক্ষে দাঁড়িয়ে নেই আমি। সবাই আমাদের মাথায় ছাতা ধরেছেন। কিন্তু কঠিন সময়ে বিরোধে না নেমে এক জোট হয়ে সমাধান খুঁজে বার করা দরকার। “সৌরভের প্রশ্ন ফেডারেশন এবং আর্টিস্ট ফোরামের কাছে, “সমস্ত কলাকুশলীদের কথা ভাবতে ভাবতে কোথাও গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ণের মতো কাজ হয়ে যাচ্ছে না তো? কোনও ১০ জন কাজ করতে না পারলে বাকি ১০ জনকেও কাজ করতে দেব না। এ রকম ভাবনা কি এই সময়ের উপযোগী?” এখন এটাই দেখার অপেক্ষা যে টলিপাড়ার এই উত্তেজনা কতদূর গড়ায়।