দুর্ঘটনা নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন নোবেল, সিসি ক্যামেরা চেক করলেই সব পরিষ্কার হবে: প্রতক্ষ্যদর্শী

পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন জনপ্রিয় গায়ক নোবেল। সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে সেই পথ দুর্ঘটনায়। রাস্তায় একজন বৃদ্ধকে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়েই নিজেই সেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন গায়ক আহসান নোবেল। নোবেল নিজের রক্তাক্ত শরীর নিয়ে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন,”এক বয়স্ক লোক অসতর্কভাবে রাস্তা পার হচ্ছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়েই আমার মাথার তালুতে বারোটা, বামপাশের ভুরুতে আঠারোটা মোট ত্রিশটা সেলাই পড়েছে।” তবে যাই হয়ে যাক বৃদ্ধকে বাঁচাতে পেরে নিজে স্বস্তি বোধ করছেন গায়ক নোবেল।
জী বাংলা সারেগামাপার মঞ্চে গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন এই জনপ্রিয় গায়ক নোবেল। এই দুর্ঘটনাটির ব্যাপারে গায়ক বৃহস্পতিবার রাতে নিজের সেই ক্ষত-বিক্ষত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। নোবেলের ডান চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা আছে। সমস্ত অনুরাগীরা দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন নোবেলের জন্য।
আপাতত অনুরাগীদের ভালোবাসায় সুস্থ আছেন গায়ক নোবেল। তবে নিজের জীবন বিপন্ন করে বৃদ্ধকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই তার প্রশংসা করেছেন।
নিজের গানের জাদুতে আগেই নোবেল প্রত্যেকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এবারে নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিলেন নোবেল। সকলের আশীর্বাদ আছে তার সাথে। গায়ক নিজেই জানিয়েছেন, ‘সকলের দোয়ায় তিনি আপাতত সুস্থ আছেন’। তবে বৃদ্ধ মানুষটিকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি যে এতো বড় বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তার এই সাহসিকতার জন্য বেশ প্রশংসা করেছেন অনেকেই। তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তবে দুর্ঘটনা স্থলে উপস্থিত প্রতক্ষ্যদর্শীদের কথা অনুযায়ী নোবেল মিথ্যে বলেছেন। তাদের মধ্যে একজন বলেছেন ‘নোবেল ভাই উল্টো দিক থেকে বাইক চালিয়ে আসার সময় ২৫-২৬ বছর বয়সী একজন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেন।’
নোবেলের এই পোস্ট নজরে আসে প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসানের। তিনি দুর্ঘটনা নিয়ে নোবেলের পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, ‘রং সাইডে বাইক চালিয়ে সাইকেল আরোহীর ওপর দিয়ে এভাবেই বাইকটা চালাইয়া দিলা। যেখানে লোকটা সারা দিন রোজা থাকার পর ইফতার করে তার ক্ষুধা নিবারণের কথা, সেখানে লোকটা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে। আর তুমি একজন রোজাদারকে মৃত্যুর পথযাত্রী বানাইয়া আরেকজন বৃদ্ধকে জীবনদানের গল্প শুনাও!’
এরপর সেই মন্তব্যের সূত্র ধরে বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যম তার কাছে জানতে চাইলে সেই প্রতক্ষ্য প্রত্যক্ষদর্শী সোয়াইব বিন আহসান তাদের বলেন ‘আমরা গুলশান আজাদ মসজিদের পাশে ৩৫ নম্বর রোডে কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ দেখি উল্টো দিক থেকে আসা একটি হোন্ডা ধাক্কা দেয় সাইকেলকে। দুজনেই পড়ে যান। আমরা সবাই মিলে সাইকেল আরোহীকে ল্যাবএইডে পাঠাই, পরে অবশ্য তিনি অন্য হাসপাতালে যান। আমরা নোবেল ভাইকেও বলি, আপনি হাসপাতালে যান। তাঁর হোন্ডা পাশে পড়া ছিল। আমরা তাঁকে একটি রিকশায় তুলেও দিই। কিছু দূর যাওয়ার পর রিকশা ঘুরিয়ে চলে আসেন। এরপর হোন্ডা চালিয়ে তিনি চলে যান। তারপর তো দেখি ফেসবুকে তিনি মিথ্যাচার করছেন। আমাদের এখানে পাশে সিসি ক্যামেরা চেক করলেও প্রমাণ পাওয়া যাবে।’