দেশনিউজভাইরাল ভিডিও

বিশেষ: অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যে যেভাবে ব্যবসা সচল রাখা যায়, জেনেনিন কিছু টিপস

করোনা মহামারির পর যখন সবাই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দেয় ঠিক তখন শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ফলে দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ত্বরান্বিত হয়েছে। কমে যাচ্ছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মন্দার।

মূল্যস্ফীতি আরও কিছু সময়ের জন্য উচ্চ থাকবে। ৭ জুন বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী কয়েক বছর উচ্চ গড় মূল্যস্ফীতি ও গড় হারের নিচে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মারিজন বলহুইস, জুড ক্রেমার ও লরেন্স সামারসের একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যদি মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থা পরিমাপ করা হয়, তাহলে এটির হার ১৯৮০ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে।

নানা পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেছে। অনেক কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংগ্রাম করছেন। পড়েছেন অর্থনৈতিক সংকটে, সম্মুখীন হয়েছেন মহামারির।

এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রাথমিক কাজ হলো মার্জিন ও ক্যাশফ্লো রক্ষা করা। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আয়ের ক্ষেত্রে আরও কঠিন লড়াই করতে হবে। এই পরিবেশে শেয়ারহোল্ডারদের মান তৈরি করতে কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই তাদের নগদ প্রবাহকে প্রকৃত অর্থে বৃদ্ধি করতে হবে। এর অর্থ হলো খরচ কমানো ও বিক্রয়ের পরিমাণ না কমিয়ে গ্রাহকদের কাছে খরচের মূল্যস্ফীতির সংমিশ্রণ।

যদিও খরচ কমানো খুব সহজ কাজ নয়। পণ্যের দাম, পরিবহন ও শ্রমিকের মজুরি এখনো সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সরবরাহ সীমাবদ্ধতাগুলো কিছুটা সহজ হতে শুরু করেছে ও আগামী মাসগুলোতে আরও সহজ হতে পারে। কিন্তু বিশৃঙ্খা নিশ্চিতভাবেই অব্যাহত থাকবে। চলতি বছরের এপ্রিলে আইফোন নির্মাতা কোম্পানি অ্যাপল চিপ ঘাটতির কথা জানায়।

কোম্পানির নির্বাহীরা খুব সহজেই মজুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক মাস খারাপ নিয়োগের পরে, কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের কাছ থেকে আরও বেশি করে মার্জিন রক্ষা করতে চাইছে। শ্রমবাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বার্ষিকভিত্তিতে দেশটিতে মজুরি বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় থাকার জন্য শুধু ব্যয় নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট হবে না। অবশিষ্ট মূল্যস্ফীতি গ্রাহকদের ওপর আরোপ করা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কোম্পানি দাম বাড়ানোর অসুবিধার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে।

তবে পণ্যের দাম বার বার বাড়ানোর কারণে কোম্পানিগুলোর জন্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। দাম বাড়নোর ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টের আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ভোক্তারা খরচের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করছে।

গত উচ্চ মূল্যস্ফীতি যুগের বিপরীতে, কর্তৃপক্ষ রিয়েল-টাইম অ্যালগরিদমিক মূল্য সেটিংও ব্যবহার করতে পারেন। ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া কোম্পানিগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে যে, কতক্ষণ দম বৃদ্ধি স্থায়ী হবে ও তাদের গ্রাহকরা কতটা সহ্য করতে পারবে।

Back to top button