খেলানিউজ

দুর্ঘটনায় পুড়ে গেছে শরীরের অনেকটা অংশ, মনের জোরেই খেলার জগতে সেরার সেরা হল উড়িষ্যার কন্যা

জীবনে কতরম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তাই না। জীবন তা তো সোজা নয়। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বারবার। উড়িষ্যার এক কন্যা মাত্র এক বছর বয়স তখন একটি জ্বলন্ত গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে পুড়ে যায় দেহের এক অংশ। তার দেহের আঙ্গুল থেকে কনুই পর্যন্ত গোটা হাত পুরো ঝলসে যায়। একরত্তি একটি শিশু যে কিনা সবে মাত্র হাটতে শিখেছে স্বপ্ন জন্ম নিচ্ছিলো তার মনের কোনে। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের ভুলের জন্য তার দেহের একাংশ একেবারে পুড়ে ছারখার হয়ে গেলো।

কার জীবনে কখন কি ঘটবে তা কেউ কখনোই বলতে পারে না। কিন্তু সমস্ত রকম বিপদের মাঝেও যদি মনের জোর থাকে তাহলে তা অতিক্রম করে জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায়। আর তা প্রমান করে দিয়েছে সেই এক বছরের ছোট্ট মেয়ে জয়ন্তী বেহারা। ওড়িশার এই কন্যা ১৯ তম প্যারা অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। শারীরিকভাবে সুস্থ থেকেও যারা ভাবেন যে কোনোকিছুর জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন তাদের কাছে এক আদর্শ কন্যা হল জয়ন্তী। তার থেকেও অন্তত এটা শারীরিক কোনো বাধাকে প্রাধান্য না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় জীবনের লক্ষ্য।

এই ছোট্ট মেয়েটি স্কুলে পড়ার সময় যখন অন্যান্য শিশুরা যখন দৌড়াতে তখন তার মনে মনে স্বপ্ন তৈরী হত যে সেও দৌড়োবে আর তাদের মাঝখান থেকে সাফল্য অর্জন করবে। তাকে অনেকখানি মানসিকভাবে জোর দিয়েছেন তার মা-বাবা এবং তার কোচ বিষ্ণু প্রসাদ মিশ্র।জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে আর পাঁচটা লোক তাকে যতই নানাভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করুক না কেন এই তিনজন মানুষ তাকে সমানে মানসিক ভাবে জোর দিয়ে গেছেন। তবে জীবনে থেমে থাকলে জীবনও থেমে থাকবে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু করা প্রয়োজন।

 

Back to top button