ফের একবার ভারতকে নিয়ে শুল্ক বিষয়ক মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, ভারত খুব শীঘ্রই আমেরিকার পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমাতে চলেছে। এর আগেও ট্রাম্প এমন দাবী করেছিলেন, কিন্তু ভারত সরকার তখন স্পষ্টভাবে সংসদে জানিয়েছিল যে, দিল্লি ওয়াশিংটনকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে, ২ এপ্রিল থেকে আমেরিকা পারস্পরিক শুল্ক চাপাতে শুরু করবে, যা ট্রাম্প ‘মুক্তি দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
৩১ মার্চ, হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি ভারত তাদের শুল্ক অনেকটা কমাতে চলেছে। অনেক দেশই তাদের শুল্ক কমাতে চলেছে।” এর আগে ভারতীয় শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মার্কিন সফরের সময় তিনি কৃষিপণ্যকে ‘নোংরা’ আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কৃষি ক্ষেত্রে তাদের বাজারে প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য এবং শুল্ক কমানোর জন্য চাপ তৈরি করছে। ২ এপ্রিল থেকে বেশ কিছু দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, এবং ভারতও সেই তালিকায় রয়েছে। ট্রাম্প বারবার ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেছেন, এবং একসময় ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু আমার একমাত্র সমস্যা হলো তারা বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করা দেশগুলির মধ্যে একটি। আমি মনে করি তারা সম্ভবত এই শুল্ক কমাবে। তবে, ২ এপ্রিল থেকে আমরাও তাদের ওপর সেই শুল্ক আরোপ করব, যা তারা আমাদের পণ্যে বসাবে।”
এদিকে, ভারতের কিছু শুল্ক ইতিমধ্যেই কমানো হয়েছে। সম্প্রতি, ভারত মার্কিন বোরবন হুইস্কির ওপর শুল্ক ১৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ কমিয়েছে, যার ফলে জনপ্রিয় মার্কিন ব্র্যান্ড জিম বিমের দাম কমতে পারে ভারতে। পাশাপাশি, গত বাজেটে ভারত মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে হারলে ডেভিডসনের মতো ব্র্যান্ডের আমদানিতে আরও শুল্ক কমেছে।
এই শুল্ক কমানোর প্রক্রিয়া ভারতের বাণিজ্য সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে পারে, যেখানে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
