OMG! ওষুধের আকাল, TB নির্মূলের টার্গেট নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করলেন খোদ স্বাস্থ্য কর্তা
পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের অভাবে থমকেছে এমডিআর টিবি রোগীর চিকিৎসা। রাজ্যের হাজার চারেক রোগীর চিকিৎসায় এই ওষুধের প্রয়োজন। কিন্তু গত ৩১ অগস্ট মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর থেকে নতুন ওষুধের সরবরাহ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহ তিনেকের আগে নতুন ওষুধ আসবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
প্রায় ৪% যক্ষ্মা রোগী এমডিআর টিবি-তে আক্রান্ত। এঁদের চিকিৎসায় সাইক্লোসেরিন, লিনেজোলিড, ক্লোফাজিমিন, পাইরিডক্সিন, ডিলাম্যানাইড ইত্যাদি ওষুধের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ওষুধগুলির সরবরাহ নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে নতুন ওষুধের স্টক আসেনি। রাজ্যের তরফে ওষুধগুলি কেনার জন্য রিকুইজিশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা পৌঁছতে সপ্তাহ তিনেক সময় লাগবে।
স্বাস্থ্যভবনের এক আধিকারিক বলেন, “এমডিআর টিবি-র ওষুধগুলি কেন্দ্র দীর্ঘ দিন হলো পাঠাচ্ছে না। সারা দেশে দিল্লি থেকেই এগুলি সরবরাহ করার কথা।” শেষ দফায় পাঠানো ওষুধের মেয়াদ ফুরোনোর ঢের আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে নতুন স্টক চাওয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান। কিন্তু আসেনি। কবে আসবে, সে আশ্বাসও দিতে পারছে না মন্ত্রক।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “পরিস্থিতি বুঝে কয়েক দিন আগেই রাজ্যের তরফে ওষুধগুলি কেনার রিকুইজিশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা পৌঁছতে সপ্তাহ তিনেক লেগে যাবে হয়তো।”
চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ওষুধের অভাবে এমডিআর টিবি রোগীদের চিকিৎসা ধাক্কা খাবে। এতে ২০২৫-এর মধ্যে টিবি নির্মূলকরণ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিকল্প ওষুধে চিকিৎসা
এমডিআর টিবি-র জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ না আসা পর্যন্ত লিভোফ্লক্সাসিন আর অ্যামিকাসিন অ্যান্টিবায়োটিক দু’টি কম্বিনেশন হিসেবে দেওয়া হবে রোগীদের। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই কম্বিনেশন আদতে বিকল্প। তাতে সাইক্লোসেরিন কিংবা ক্লোফাজিমিনের মতো ভালো কাজ হবে না।