দেশনিউজ

৭৫ বছর ধরে গাছ তলায় চলছে পড়াশুনা, কখনও বন্ধ হয়নি বৃদ্ধের পাঠশালা

প্রতিদিনের মতোই নিয়ম করে গাছ তলায় বসেছে পাঠশালা। আর সেই পাঠশালাতে কম বয়সের ছোট ছেলে -মেয়েরা মনোযোগ দিয়ে করছে পড়াশুনা।গত ৭৫ বছরে বৃদ্ধের পাঠশালা বন্ধ হয়নি কোনোদিনও।
আর তার পাঠশালাতে শুধু ছোটরা নয় তিনি নিয়মিত পরিয়ে চলেছেন বড়দেড় কেও। আর এই বৃদ্ধা শিক্ষকের নাম হলো নন্দা প্রাস্টি।তিনি দিনের বেলাতে পড়ান ছোটদের ও রাতে বড় দের পোড়ানোর জন্য ভাগ ভাগ করে নিয়েছেন সময়।

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বর্তনদা গ্রামের বাসিন্দা হলেন এই বৃদ্ধ। বৃদ্ধার এই মহৎ উদ্যোগ দেখে সেখানকার গ্রামের প্রধান তাকে অনুরোধ করেছিলেন সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে। আর ওই সাহায্য পেলে তিনি স্কুল নির্মাণ করে শান্তি ও সুবিধা সহ করতে পারবেন শিক্ষকতা। কিন্তু নন্দা প্রাস্টি প্রধানের দেওয়া সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন।

তিনি গাছ তলাতেই আজও চালিয়ে যাচ্ছেন তার শিক্ষকতা। এই প্রসঙ্গে নন্দা প্রাস্টি বলেন ‘নন্দা প্রাস্টি বলেন, আমি চাষবাষের কাজ করতাম। তখন দেখতাম যে গ্রামের প্রচুর মানুষ অশিক্ষিত। তারা নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেন না। আঙুলের ছাপ দিয়েই চলে তাদের কাজ।

তারা যাতে অন্তত পক্ষে নিজের নামটুকু লিখতে পারেন, তাই পড়াশোনা শেখাতে শুরু করেছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে গীতা পড়তে শুরু করি তাদের সামনে। তাদের পড়ার ইচ্ছে জাগে। সেখান থেকে শুরু আমার শিক্ষকতা। এখন আমি তাদের নাতি-নাতনিদের পড়াই।’

উক্ত কথা গুলো বেশ গর্বের সাথে বলেছেন এই গর্বিত শিক্ষক। যার গর্ব অর্থে নয় তার জ্ঞান ও শিক্ষায় প্রকাশ পায়। তবে শিশুরা ক্লাস ফোর এ উত্তীর্ণ হলেই তিনি তাদের পরিমারী স্কুলে যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের বলতে থাকেন।

ওড়িশার ওই ছোট্ট গ্রামের প্রধান জানিয়েছেন যে নন্দা প্রাস্টি দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাচ্চাদের এই ভাবেই পড়িয়ে আসছেন তবে তিনি কোনোরকম সরকারি সাহায্য নেননি এমনকি সরকারি কোনো সহায়তা নিতেও তিনি অস্বীকার করেন। তবে আমরা তার পাঠাশালাকে একটি পরিকাঠামো রূপে তুলে ধরার প্রচেষ্টা করছি যাতে উনি খুব ভালোভাবে পড়াতে পারেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে আবহাওয়া ও পরিস্থিতি খারাপ থাকলেও একদিনও বন্ধ থাকেনি এই মহান বৃদ্ধ শিক্ষকের পাঠশালা।

সূত্র: ইন্ডিয়াডটকম

Back to top button