দেশ

হাসিমুখে ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ দেওয়া কোনও অপরাধ নয় : দিল্লি হাইকোর্ট

হাসিমুখে কিছু বললে তাতে কোনও অপরাধের প্রশ্ন থাকে না। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সংক্রান্ত মামলায় এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

বিচারপতি চন্দ্রধারী সিং জানিয়েছেন, যদি কোনও বক্তব্য হাসিমুখে বলা হয়, তবে সেটা অপরাধ নয়। আক্রমণাত্মকভাবে কিছু বলা হলে তবেই সেখানে অপরাধ থাকতে পারে।

উত্তর-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় বক্তব্যের মাধ্যমে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও সাংসদ পরবেশ ভার্মার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অনুরাগ ও পরবেশের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএম নেতা বৃন্দা কারাত ও কেএম তিওয়ারি। ভারতের নিম্ন আদালত এই মামলা নিতে রাজি হয়নি। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই সিপিএম নেতা। কিন্তু, উচ্চ আদালতও তাদের পর্যবেক্ষণে এই দুই সিপিএম নেতাকে নিরাশ করেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

নির্বাচনের সময় কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই একটা পরিবেশ তৈরির জন্য রাজনীতিবিদরা হাজার রকম কথা বলেন। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিচারক বলেন, ‘যদি আপনি হাসিমুখে কিছু বলেন, সেটা অপরাধ নয়। যদি আক্রমণাত্মকভাবে কিছু বলেন তবে সেটা অপরাধ। এটা আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে এবং ভারসাম্য রাখতে হবে। নতুবা আমার মনে হয়, নির্বাচনের সময় সব রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে হাজারের বেশি এফআইআর দায়ের হবে।’

বিচারক বলেন, ‘কখন এবং কোন সময় এই বক্তব্য রাখা হয়েছিল? কী উদ্দেশ্য ছিল? কেবলমাত্র লক্ষ্য ছিল নির্বাচনে জেতা নাকি জনগণকে উত্তেজিত করে অপরাধ করানো? দুটো আলাদা ব্যাপার। এটা বোঝার পর আবেদন করতে হবে।’

পরবেশ ভার্মার যে বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তা হলো, ‘ইয়ে লোগ আপকো ঘরোমে ঘুসেঙ্গে, আপকি বেটিয়োঁ কো উঠায়েঙ্গে অউর উনকো রেপ করেঙ্গে।’ আদালত তার প্রেক্ষিতে জানতে চায়, ‘এখানে ইয়ে লোগ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? আবেদনকারীরা কীভাবে সিদ্ধান্তে আসছেন যে, এটা কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কেই বলা হয়েছে?’

আবেদনকারীদের আইনজীবী অদিত পূজারি জানান, এটা শাহিনবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল। আদালত পালটা প্রশ্ন করে, ‘এই প্রতিবাদে শুধু একটা সম্প্রদায় অংশ নিয়েছিল, তার প্রমাণ কোথায়?’

Back to top button