BigNews: ২০২৪ লোকসভায় বড় ধাক্কা TMC-র? জনমত সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
পঞ্চায়েত ভোটের ফল দেখে মনে হচ্ছে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আবারও বিজেপিকে চমকে দিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু টাইমস নাও-ইটিজির জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে, রাজ্যেক ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে শাসকদল জিততে পারে ২০ থেকে ২২টি আসনে। অন্যদিকে সমীক্ষায় ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮-২০টি আসন পেতে পারে বিজেপি।
তৃণমূল মুখপাত্র সুদীপ রাহা বলেন, “প্রত্যেক নির্বাচনের আগে সমীক্ষা হয়। কিন্তু আসল বিষয় হল জনমত, ভোটবাক্সে তারই প্রতিফলন হয়। তাই এখন থেকেই বলে দেওয়া যাবে না যে কে কতগুলি আসন পাবে। ইন্ডিয়া জোট তৈরি হওয়ার পর বাংলার রাজনীতিতে পরিবর্তন হবে। যাঁরা বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলকে শক্তিশালী মনে করেন, তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক মতামত দূরে সরিয়ে রেখে জোড়াফুলেই ভোট দেবেন। বিজেপি এক অঙ্কের আসন সংখ্যা অতিক্রম করতে পারবে বলে মনে হয় না। উত্তরবঙ্গেও আমাদের ফল ভালো হবে।”
শিলিগুড়ি বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এই সমীক্ষা জনমতের খুবই প্রাথমিক প্রতিফলন বলেই আমার মনে হয়। তবুই আমি এই সমীক্ষার ফলকে ইতিবাচক হিসেবেই ধরব। ২০২১-র পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা পঞ্চায়েত নির্বাচন অবধি চলেছে। তারপরও সমীক্ষায় মানুষের মতামত দেখে মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন, আমরা তার দিকে এগোতে পারব। বিজেপি এখনও লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রচার শুরু করেনি। দিন যত যাবে, বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ অবস্থান তত স্পষ্ট হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।”
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় চমকপ্রদ ফল করেছিল বিজেপি। ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে ৩৪ থেকে কমে তৃণমূলে আসন সংখ্যা কমে হয়েছিল ২২। কংগ্রেস ২টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছিল।
বিজেপির জয়ের কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, তৃণমূলের দুর্নীতি, প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের অনীহা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের জন্য এই কারণগুলিই আবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে তৃণমূলেরও কিছু সুবিধা আছে। তাদের আছে দীর্ঘদিনের শাসনকালের অভিজ্ঞতা, শক্তিশালী ভোট ব্যাংক এবং দক্ষ প্রশাসন। এছাড়াও, ২০২১ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তারা বিপুল জয়লাভ করেছে, যা তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জয়ী দল হবে তা এখনই বলা মুশকিল। দুটি প্রধান দলের মধ্যেই জয়ের সম্ভাবনা আছে। শেষ পর্যন্ত, ভোটারদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে কোন দল জয়ী হবে।