সলমন খান এবং ভাগ্যশ্রী অভিনীত ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ (Maine Pyar Kiya) ছবিটি ১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এটি ছিল সলমনের বলিউড অভিষেক ছবি। ছবিটি বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছিল। এটি ছিল ১৯৮০-এর দশকের সবচেয়ে বেশি আয়কারী বলিউড ছবিগুলির মধ্যে একটি।
ছবিটিতে সলমন খান এবং ভাগ্যশ্রী জুটির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। তবে, ছবিতে ভাগ্যশ্রী সলমনের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ভাগ্যশ্রী এই ছবির জন্য ১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, সলমন খান মাত্র ৪০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।
এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কারণ সলমন খান তখনই বলিউডে নতুন এসেছিলেন। তিনি খুব বেশি অভিজ্ঞ ছিলেন না। অন্যদিকে, ভাগ্যশ্রী ছিলেন একজন দক্ষিণী অভিনেত্রী। তিনি তখনই বলিউডে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
এই ঘটনাটি দেখায় যে বলিউডে তখনও অভিনেত্রীদেরকে পুরুষ অভিনেতাদের চেয়ে কম পারিশ্রমিক দেওয়া হতো।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সলমন বলেছিলেন, “আমার জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক ছিল ৭৫ টাকা। তার পর যখন কোম্পাকোলার বিজ্ঞাপন করি তখন এক লাফে বেড়ে গিয়ে হয়েছিল ১৫০০ টাকা। এই প্রথম ছবির পারিশ্রমিক আগে বলা হয়েছিল ৩১ হাজার টাকা যা পরে বেড়ে গিয়ে হয়েছিল ৭৫হাজার টাকা।”
সলমন খান আরও বলেন,”ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ছবির পর চার পাঁচ মাস পর্যন্ত কোনও কাজ পাইনি। এমন মনে হচ্ছিল যে, আর কখনও কাজই পাবো না। কারণ, ভাগ্যশ্রী ম্যাডাম তো সেই সময় ঠিকই করে নিয়েছিলেন যে তিনি আর কাজ করবেন না। তিনি বিয়ে করবেন। আর ছবির পুরো ক্রেডিট নিয়ে ভাগ্যশ্রী বিয়ে করে ফেললেন। পুরো ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের মনে হয়েছিল, ছবি হিট করার পুরো কাজই ভাগ্যশ্রী করেছেন। আর আমি শুধুমাত্রই ওখানে অভিনয় করেছি।”
