দেশনিউজ

মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলে ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হল AFSPA, বিজ্ঞপ্তি জারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্য মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA)-এর মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এই বর্ধিত মেয়াদ আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মণিপুর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর, সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন, ১৯৫৮-এর ৩ নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যের ৫টি জেলার ১৩টি থানার আওতাধীন এলাকা বাদ দিয়ে সমগ্র মণিপুর রাজ্যকে আগামী ছয় মাসের জন্য ‘অশান্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

একইভাবে, নাগাল্যান্ডের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সেখানেও আফস্পার মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিমাপুর, নিউল্যান্ড, চুমোকেদিমা, মোন, কিফিরে, নোকলাক, ফেক এবং পেরেন জেলায় এই আইন পুনরায় জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, কোহিমা জেলার খুজামা, কোহিমা উত্তর, কোহিমা দক্ষিণ, জুবজা এবং কেজোচা থানার আওতাধীন এলাকাগুলিকেও ‘অশান্ত’ ঘোষণা করে আফস্পার আওতায় আনা হয়েছে। এর আগে থেকেই মোকোকচুং জেলার মাংকোলেম্বা, মোকোকচুং-১, লংথো, তুলি, লংচেম এবং আনাকি ‘সি’ থানা এলাকাগুলি ‘অশান্ত’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং সেখানেও এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যান্য যে এলাকাগুলিতে আফস্পার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে, সেগুলি হল লংলেং জেলার ইয়াংলোক থানা এলাকা এবং ওখা জেলার ভান্ডারি, চম্পাং এবং রালান থানা এলাকা। জুনহেবোটো জেলার ঘাটাসি, পুঘোবোটো, সাতখা, সুরুহুতো, জুনহেবোটো এবং আঘুনাতো পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন এলাকাগুলিও আগামী ১ এপ্রিল থেকে আরও ৬ মাসের জন্য আফস্পার অধীনে থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলা এবং রাজ্যের আরও তিনটি থানা এলাকাতেও আফস্পার মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) কোনও ‘অশান্ত’ এলাকায় কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে। এই আইনের বলে নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনে তল্লাশি, গ্রেফতার এবং এমনকি গুলি চালানোরও অধিকার পায়। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে এই আইন কার্যকর রয়েছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে এর সমালোচনাও করা হয়েছে। তবে, কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত এই আইন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Back to top button