নিউজঅফবিট

জন্মের সময় ফেলে দিতে বলেছিল, ২৯ বছর বয়সে কোটি টাকার বিজনেসের মালিক যুবক

সকলেই জানেন যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় সংকল্পের প্রয়োজন। এই বিষয়টি যে আরও একবার প্রমান করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকান্ত বোলা। কঠিন পরিশ্রম করে আজ শ্রীকান্ত তার ব্যবসা নিয়ে গিয়েছেন বিশাল উচ্চতায়। দেশের অনেকেই তার উত্থানের

ব্যাপার হল যে জন্ম থেকেই তার চোখে কিছু সমস্যা ধরা পড়ে। কিছু পরিচিত মানুষ তার মা-বাবাকে তাকে অনাথ আশ্রমে রেখে আসার পরামর্শ দেয়। কিন্তু তার বাবা-মা তাতে রাজি ছিলেন না। বড় হয়ে উঠতে উঠতে শ্রীকান্ত উপলব্ধি করেন যে তার শিক্ষক ও সহকর্মীরা তাকে অনেক উপেক্ষা করছেন। স্কুলেও তাকে সবসময় পিছনের সারিতে বসতে দেওয়া হতো। অনেক সংগ্রাম করে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে

দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষায় তিনি ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে সকলকে তাকে লাগিয়ে দেন শ্রীকান্ত। তারপর তিনি আইআইটি-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও কেউ তাকে গাইড করতে রাজি না হওয়ায় আইআইটি-তে তার সুযোগ পাওয়া হয়নি।এরপরেও দমে না গিয়ে শ্রীকান্ত আমেরিকার শীর্ষ প্রযুক্তি শিক্ষাকেন্দ্র এমআইটিতে ভর্তির আবেদন করেন এবং তিনিই হন ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক দৃষ্টিহীন ছাত্র।

শেষ করে সেখানে আরামের জীবনযাপনের সুযোগ থাকলেও তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং নিজের সংস্থা বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রিজ-এর শুরু করেন। সেই কোম্পানি কয়েকদিন যেতেই এত বিখ্যাত হয়ে ওঠে যে রতন টাটা পর্যন্ত সেই সংস্থায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন। ২০১৮ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ১৫০ কোটি টাকা লাভ করেছে এবং প্রচুর লোককে কর্মসংস্থান জুগিয়েছে। ২০১৭ সালে শ্রীকান্ত আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ফোর্বসের

৩০ জন শ্রেষ্ঠ এশিয়ান বিজনেসম্যানের তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন এবং সিআইআই ইমার্জিং এন্ট্রেপ্রিনার অফ দ্য ইয়ার ২০১৬, ইসিএলআইএফ মালয়েশিয়া ইমার্জিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-এর মত পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০০৬ সালে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত ডক্টর এপিজে আবদুল কালামের বক্তৃতায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল কালামের, ‘তুমি জীবনে কী হতে চাও?’ প্রশ্নের উত্তরে শ্রীকান্ত বলেছিলেন, ‘আমি ভারতের প্রথম অন্ধ রাষ্ট্রপতি হতে চাই।

Back to top button