আপনি আপনার কিডনির অসুখ বুঝতে দেরি করছেন না তো? দেখেনিন
সুস্থতা সবারই কাম্য। কিন্তু জানেন কি, শরীর সুস্থ রাখার সিংহভাগই থাকে নিজের হাতের মধ্যে। শরীরকে সুস্থ রাখতে যকৃৎ বা কিডনির বড় ভূমিকা থাকে। শরীরে ছাঁকনির কাজ করে কিডনি। এছাড়াও কিডনি শরীরে হরমোনের সমতা বজায় রাখে।
যে অঙ্গ শরীরে এত বড় ভূমিকা পালন করে, তাকে সুস্থ রাখা বিশেষ দায়িত্ব। কিডনি খারাপ হলে সহজেই যেকোনো অসুখ জাঁকিয়ে বসে। আর তাই কিডনি সুস্থ রাখতে বিশষেজ্ঞরা কিছু বিষয় মেনে চলতে বলেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে বিষয়গুলো সম্পর্কে-
>> কিডনির অসুখ সহজে বোঝা যায় না। উপসর্গ বোঝার আগে কিডনির ৯০ শতাংশ খারাপ হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই কিডনির ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। সামান্যতম উপসর্গ দেখা গেলেই নিয়মিত কিডনির যাবতীয় পরীক্ষা করান।
>> ডায়েট ঠিক রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খান।
>> রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই প্রয়োজনের বেশি ওষুধ খাবেন না। ওষুধ সব সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান। প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। যাতে ওষুধ না খেতে হয়। মদ্যপানেও নিয়ন্ত্রণ আনুন।
>> শরীর হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। যথেষ্ট পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। কিন্তু জল কম খাওয়ার মতোই মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে জল খেলেও কিছু ক্ষেত্রে বিপত্তি হতে পারে। কিডনি বিকল হলে অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাওয়াও বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই দিনে ৮ গ্লাস জল স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়।
>> শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে।
>> প্রত্যেকের শরীরের আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। তাই কারোর কিডনির রোগের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এগুলো থাকলে কিডনির ঝুঁকি থাকে। এছাড়া যারা বেশি মাত্রায় ধূমপান ও মদ্যপান করেন, হার্টের অসুখ রয়েছে বা ওবেসিটির শিকার তাদের এই সমস্যা হয়।