সামান্থার ঈর্ষণীয় নিখুঁত ত্বকের গোপন রহস্য, জেনেনিন অবশ্যই
দক্ষিণী তারকা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর থেকে সামান্থা প্রভুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা-আলোচনা ছাপিয়ে গিয়েছে গত বছর থেকে। পাশাপাশি তাকে ঘিরে উৎসাহও অনেকটা বেড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কৌতূহল অভিনেত্রীর নিখুঁত ত্বক নিয়ে। কী করে তিনি এমন মোমের মতো তুলতুলে ত্বক পেলেন? সাধারণ ভক্তদের পাশাপাশি সে রহস্য জানতে চান অনেক বলিউডের অভিনেত্রীও।
তবে বিনা পরিশ্রমে এমন ত্বক পাননি সামান্থা। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে তিনি রোজ কিছু নিয়ম মেনে চলেন। খাওয়াদাওয়া-শরীরচর্চা তো বটেই, তার পাশাপাশি ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকায়। তবে দেশি নয়, কোরিয়ার!
রূপচর্চা নিয়ে কোরিয়ার নানা রকম টোটকা এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। তাদের নানা রকম ক্রিম-সিরাম-মাস্ক ভারতীয় বাজারেও ছেয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেগুলো ছাড়াও কিছু নিয়ম মেনে চলেন সামান্থা। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী কী-
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তিনি গরম জলে ভাপ নেন। এই টোটকা কোরিয়ার মেয়েরা খুবই নিষ্ঠাভরে মেনে চলেন।
ত্বকের মাসাজ করার জন্য কোরিয়ার এক বিশেষ ধরনের রোলার আছে। এখন এগুলো বাজারে বেশ সহজেই পাওয়া যায়। রোজ রাতে নিয়ম করে এই রোলার দিয়ে মাসাজ করেন সামান্থা।
প্রাথমিক স্তরে মুখ ধোয়া, টোনার লাগানো এবং শেষে ময়শ্চারাইজার লাগানোর কোনো অন্যথা হয় না সামান্থার।
তার সাজের ব্যাগে সব সময় কোরিয়ার এক বিখ্যাত সংস্থার সিরাম, চোখের ক্রিম এবং ব্ল্যাকহেড তোলার মাস্ক থাকে।
কোরিয়ার টোটকা মেনে সামান্থা পরপর দুটি মাস্ক ব্যবহার করেন। একটি ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য, দ্বিতীয়টি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য।
মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল ত্বক টানটান করার জন্য বেশ জনপ্রিয়। তবে এই যন্ত্র এখন কিনে বাড়িতেও করা যায়। সামান্থাও সেই পথে হাঁটেন।
ত্বকে যাতে বলিরেখা না পড়ে, তা খেয়াল রাখার জন্য সামান্থা মাঝেমাঝে ভিটামিন ইনফিউশন থেরাপি করিয়ে থাকেন।