লাইফস্টাইল

Lifestyle: শরীরের জন্য দারুণ উপকারী নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চালানো, জেনেনিন বিস্তারিত

দু’-চাকা মানেই বিপদ নয়। বরং আপনার প্রিয় বাহনটি নিয়মিত চাপলে আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে অনেক উপকার পেতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চড়ুন।

১. মোটরসাইকেল চালালে আপনার হাঁটু এবং থাইয়ের জোর বাড়ে। যাঁরা মোটরসাইকেল চালান, তাঁদের হাঁটুর সমস্যা কম হয়। হাঁটুর হাড়গুলি সঠিক জায়গায় ধরে রাখতে সাহায্য করে যে মাংসপেশিগুলি, মোটরসাইকেল চালালে সেই মাংসপেশিগুলির জোর বাড়ে।

২. শুধু তাই নয়, মোটরসাইকেল নাড়াচাড়া করতে, বিশেষত অল্প গতিতে মোটরসাইকেল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে পেটের আশেপাশে থাকা মাংসপেশিগুলির জোর বাড়ে।

৩. মোটরসাইকেল চালানোর পরে প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, শরীরে ফ্যাট কম জমে। ফলে বাড়তি ওজন ঝরানো ছাড়াও ব্লাড সুগার লেভেল কমে। যাঁদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরা এর ফলে বিশেষ ভাবে উপকৃত হন।

৪. হাওয়ার বিরুদ্ধে গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে লক্ষ্যণীয়ভাবে শরীরের ক্যালোরি ঝরে। শুধু তাই নয়, হাওয়ার বিরুদ্ধে শরীরকে মোটরসাইকেলের উপরে ধরে রাখার ফলে শরীরের মাংসপেশিগুলির জোর বাড়ে। যাঁরা মোটরসাইকেল রেস করেন, তাঁরা ঘণ্টায় ৬০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরাতে পারেন। অন্যদের ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালোরির মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

৫. আপনার মোটরসাইকেলটি যদি আপনার ঠিকঠাক ‘ফিট’ না হয়, বা মোটরসাইকেলে বসতে অসুবিধা হয়, তাহলে আপনার ব্যাকপেন-এর মতো সমস্যা হতে পারে। কিন্তু একটু সতর্ক হয়ে ঠিকঠাক মোটরসাইকেল ব্যবহার করলে এবং হেলমেট পড়লে আপনার ঘাড়ের হাড় মজবুত হয়। বিশেষত আপনার হেলমেটে যদি উইন্ডশিল্ড না থাকে, তাহলে আরও উপকার পাওয়া যায়।

৬. মোটরসাইকেলে একটা লং রাইড করে আসার পরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশ সতেজ লাগে। মোটরসাইকেল চালানোর সময়ে রোজকার বিভিন্ন সমস্যা ভুলে থেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা হওয়া যায়। মোটরসাইকেল চালানোর সময়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে এন্ডোরফিনস নামে একটি রাসায়ণিক বেরিয়ে যায় যা আপনাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে সাহায্য করে।

Back to top button