কিভাবে ফল ও সবজি ফরমালিনমুক্ত করবেন
ফল ও শাক-সবজিতে অনেক সময় কীটনাশক বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। খাবারে কীটনাশক থাকার কারণে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, পারকিনসন্স,আলঝেইমারের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, সন্তানের জন্মগত ত্রুটি, প্রজননে সমস্যা, অ্যাজমা এসব দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে কীটনাশক ও রাসায়নিক দূর করতে জলে ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট নয়। ফল ও শাক সবজি থেকে কীটনাশক ও রাসায়নিক দূর করার উপায় জেনে নিন।
ফল ও শাক-সবজি কলের চলমান জলে ভালোভাবে ধুতে হবে। এতে অনেকটাই কীটনাশক ও রাসায়নিক দূর হবে। কানেকটিকাট এগ্রিকালচারাল এক্সিপেরিমেন্ট স্টেশনের এক গবেষণায় জানা গেছে, কলের চলমান জলে ধোয়া ফল ও সবজিতে ১২ টি কীটনাশকের মধ্যে ৯ টি দূর হয়। লেটুস, স্ট্রবেরি ও টমেটোর ১৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলো জলে ডলে ধোয়ার চেয়ে কলের চলমান জলে ধোয়ার ফলে কীটনাশক ও রাসায়নিক তাড়াতাড়ি দূর হয়।
আরেক গবেষণায় দেখা গেছে ভিনেগারে বা লবণ জলে সবজি ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে ক্লোরপাইরিফোস,ডিডিটি, সাইপারমেথরিন ও ক্লোরোথালোনিল এর মতো কীটনাশক দূর হয়। ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেকিং সোডার দ্রবণে দুই মিনিট আপেল ডুবিয়ে রাখলে তা কলের চলমান জলের ধারা বা ব্লিচ দ্রবণের ডুবিয়ে রাখার চেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অবশ্য বেকিং সোডার দ্রবণে আপেল অন্তত ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে তবেই রাসায়নিক দূর হয়। এক্ষেত্রে এক চামচ বেকিং সোডার সাথে দুই কাপ জল মেশাতে হবে। অবশ্য এই কৌশল শুধু আপেলের ক্ষেত্রেই কাজে আসে। অন্য ফলের জন্য তেমন কার্যকর নাও হতে পারে।
মাশরুম জলে ভালো করে ধুয়ে বা ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে তারপর শুকনো কাপড়ে চেপে মুছে নিতে হবে।