ইগোতে আক্রান্ত মানুষ বিশ্বাসই করতে চায় না যে তাদের কোনও ভুল হয়েছে
ইগো আসলে নিজের প্রতি অতি মাত্রায় উঁচু ধারণা। আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান হল, নিজের সত্যিকার যোগ্যতার প্রতি বিশ্বাস। কিন্তু ইগো হল, নিজে যা নন নিজেকে তাই মনে করা। একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ কোনও কিছু না জানলে বা না পারলে তা স্বীকার করে ।
অন্যদিকে একজন ইগোতে আক্রান্ত ব্যক্তি কোনও কিছু না জানলে বা না পারলে তা স্বীকার তো করবেই না, শেখারও চেষ্টা করবে না। তার ধারণা সে সবই বোঝে এবং সবই পারে। সে কোনও ভুল করার পর তা স্বীকার না করে বরং অন্যের ঘাড়ে বা পরিস্থিতির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে।
মনোবিজ্ঞানী নিকোল ল্যাপারার দেয়া টিপস অনুযায়ী ইগো সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হল :
নিজেকে সর্বাদা বড় ভাবা। ইগোতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের সর্বদা বড় ভাবে কারণ তাদের নিজেদের উপর থাকে অস্বাভাবিক বিশ্বাস। তারা নিজেদের সব সময় সঠিক ভাবে। তারা বিশ্বাসই করতে চায় না যে তাদের কোনও ভুল হয়েছে বা হতে পারে।
নিজেকে বেশি জ্ঞানী ভাবা। কোনও বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞান না থাকলেও তারা নিজেদের বেশি জ্ঞানী ভাবে।
তর্কে হার মানে না। যেহেতু তারা নিজেদের সর্বদা বড় ভাবে তাই তারা ভাবে তর্কে হেরে যাওয়া মানে ছোট হয়ে যাওয়া। সেই ছোট হওয়ার ভয় থেকেই তারা কোনও যুক্তি বুঝতে চায় না। যেকোনও পরিস্থিতিতে তারা জিততে চায়।
ইগোতে আক্রান্তদের তীব্র আবেগ থাকে এবং তারা অন্য সবার মতো কান্না করতে চায় অথবা তাদের ভালো থাকাগুলোও প্রকাশ করতে চায় কিন্তু অন্য সবার মতো সেটা হয়ে উঠেনা তাদের দ্বারা।
ইগোতে আক্রান্তরা এমন কিছু কথা তাদের কাছের মানুষকে বলে ফেলে যা তারা প্রকৃত অর্থে বলতে চায় না। অর্থাৎ তাদের স্নায়ুতন্ত্র তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
নিজের ভুল স্বীকার না করা। মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু যেহেতু ইগোতে আক্রান্তরা নিজেকে অন্যের থেকে বড় ও সঠিক ভেবে থাকে তাই তারা নিজের ভুলের জন্য অন্যের কাছে ক্ষমা চায় না এবং ক্ষমা চাওয়াকে তারা লজ্জাজনক মনে করে।
অন্যের দোষ খুঁজে তাদের খোটা দেয়া।ইগোতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের ভুল তো স্বীকার করেই না বরং অন্যের ভুল খুঁজে অন্যকে খোটা দিয়ে নিজেকে বড় প্রমাণ করতে পারবে সেই চিন্তায় থাকে।