বাঙালি বিজ্ঞানী বানিয়ে ফেললো কৃত্তিম কিডনি ,চলুন বিস্তারিত জেনে নিন

সঠিকভাবে জল না খাওয়ার কারণে কিডনিতে স্টোন হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই শোনা যায়।অথবা প্রস্রাব আটকে রাখার কারণে হতে পারে কিডনিতে স্টোন। কিডনিতে স্টোন হলে সবার আগে মাথায় আসে ডায়ালিসিসের কথা। বিশাল পরিমাণ টাকা খরচ এর পাশাপাশি ভয় থাকে প্রাণহানির।এবার সেই সব ভয় কে কেটে সকলের জন্য তৈরি করে ফেলেছেন কৃত্রিম কিডনি বাঙালি বিজ্ঞানী শুভ রায়। খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে এই কৃত্রিম কিডনি। কম খরচে এবার মানুষের কিডনির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কিডনিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হার্ট, ফুসফুস, লিভার। কিন্তু এবার সমাধানের একটাই রাস্তা হল কিডনি প্রতিস্থাপন। কিডনি সমস্যার খোঁজে এবার কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন করার কথা বললেন ডাক্তাররা। খরচ ডায়ালাইসিস তুলনায় অনেকটাই কম হবে জানা গিয়েছে । কিডনি খারাপ হয়ে গেলে মূলত রক্তশোধন এ ঘাটতি দেখা যায়। এই কারণে ডাইলেসিস প্রক্রিয়ার সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে ব্যক্তি রক্ত শোধন করা হয়, যার জন্য রোগীকে একাধিক দিন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ডায়ালিসিসের পরেও বেশিরভাগ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয় না।চিন্তা হবার কারণে বেশিরভাগ রোগী ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনে ভোগেন।বিকল কিডনির বদলে যদি রোগীর দেহে সুস্থ কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না রোগী দেড় । কৃত্রিম কিডনি স্বাভাবিক মতোই কাজ করতে সক্ষম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কারক শুভ রায় জানিয়েছেন যে, চলতি দশকের শেষে অথবা নতুন দশকের গোড়ায় বাজারে পাওয়া যাবে এই কিডনি।
এ কিডনি কিভাবে মানবদেহে ব্যবহার করা যায় এই প্রশ্নের উত্তরে শুভরায় জানিয়েছেন যে, যন্ত্রটি সহজে পেটের ভেতরে প্রতিস্থাপন করা যায়।স্বাভাবিক ঈদের মতই রক্তশোধন করা ছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হরমোন উৎপাদন করতে সক্ষম এই কৃত্রিম কিডনি। কিডনি সমস্যায় ভারতে প্রতিবছর প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়।
কৃত্রিম কিডনি সঠিক খরচের হিসাব এখনই শুভ রায় না জানালেও তিনি দাবি করেছেন যে, ডাইলেসিস এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের চেয়ে অনেক কম খরচে বসানো যাবে এই কৃত্রিম কিডনি।