পৃথিবীর ভয়ঙ্কর ৭টি ভাইরাস, যা পুরো পৃথিবীতে ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল

বহু যুগ আগে থেকেই থেকেই মানুষের জীবনকে বিষন্ন তুলেছে যে ক্ষুদ্র দানব গুলো, তার নাম ‘ভাইরাস’।ল্যাটিন ভাষায় ‘ভাইরাস’-এর অর্থ হলো ‘বিষ’।আবার এই ভাইরাস গুলোকে আজকাল মানুষের ভালো কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।কিন্তু তবে এটা সত্যি যে এই সব প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।পৃথিবীতে অজানা বহু ভাইরাস আছে।এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ৭টি ভাইরাস সমন্ধে তাহলে জানা যাক:-
ইবোলা ভাইরাস:-
এখনো পর্যন্ত সকল ভাইরাসের থেকে এই ভাইরাস গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।এই ভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তিরা মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি।এই ভাইরাসের ৬টি প্রকরণের সন্ধান পাওয়া গেছে।বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দ্রুত চিকিৎসা না পেলে সেই ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব নয়।এই ভাইরাসের সর্বপ্রথম প্রাদুর্ভবা ঘটেছিলো ১৯৭৬ সালে।এই ভাইরাসের যেকোনো রক্ত বা যেকোনো নিঃসৃত রস থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পরে।
রেবিজ ভাইরাস:
এই ভাইরাসের সংক্রমিত রোগের নাম হলো জলাতঙ্ক।সংক্রমিত প্রাণীর লালায় রেবিজ ভাইরাস থেকে।সেসব প্রাণী মানুষকে কামড়ালে মানুষ এই জলাতঙ্কের রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে।আর এই সব প্রাণী কামড়ের সাথে সাথে ভ্যাকসিন না নিলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে।এরপর এই ভাইরাসটি মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরে। যার ফলে মানুষের মৃত্যু ঘটে থাকে।
মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস(H5 N1 রূপান্তরিত) :–
এই ভাইরাসটি একটি রূপান্তরিত ভাইরাস।এই ভাইরাসটি খুবই বিপজ্জনক।এই ভাইরাসটিকে গবেষণাগারে খুবই ভালো করতে সুরক্ষিত ভাবে রাখা হয়েছে।এমনিতেই বার্ড ফ্লু ভাইরাসের মরণ ক্ষমতা ৬০%।এরপরেও উচ্চমারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই ভাইরাসটি নিজে থেকেই রূপান্তরিত হতে পারে।জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেকায়দায় আছেন।
মারবুর্গ:-
এই ভাইরাস ইবোলা ভাইরাসে থেকে কম শক্তিশালী।তবে ইবোলা ভাইরাস ও মারবুর্গ ভাইরাস দুটোর মধ্যে সামান্য কিছু মিল আছে।এই ভাইরাস উচ্চ মরণ ক্ষমতা সম্পন্ন।এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ৫-৭ দিনের মধ্যে মারা যায়।আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে মেলা মেশা, প্রসব, মূল ও লালার মাধ্যমে এই ভাইরাস অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পরে।
ডেঙ্গু:-
এই ভাইরাস এডিস মশার কামড়ে ছরিয়ে পরে।এই ভাইরাসের অপর আরেকটি নাম হলো ‘ট্রপিক্যাল ফ্লু’।তবে এই ভাইরাস অন্যসব ভাইরাসের থেকে কম বিপজ্জনক।তবে এই মশা নিয়ন্ত্রণ ও কিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে ডেঙ্গুর থেকে সংক্রমণ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।
এইডস ভাইরাস:-
এই ভাইরাসটি মানব শরীরে ৮-১০ বছর বেঁচে থাকতে পারে।এই ভাইরাসটি মানব শরীরের সমস্ত অঙ্গ গুলিকে বিকলাঙ্গ করে তুলতে পারে।এরপর আস্তে আস্তে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে থাকে।
নভেল করোনা:-
ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।এই ভাইরাসের একটি প্রকরণ হলো নভেল করোনা।করোনা ভাইরাসের নতুন রূপটি এখনো পর্যন্ত উন্মোচন হয়নি।এই ভাইরাসের আক্রান্ত ১০০ জন ব্যক্তির মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৪ জনের কম ও অর্ধেক মানুষ এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে গেছেন।তবে বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের মতিগতি বুঝে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠে পরে লেগেছেন।