গরমে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকুন! জেনেনিন বিশেষ কিছু তথ্য
বেড়েছে রোদের তীব্রতা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জনজীবনে দুর্ভোগ। গত কয়দিনে তীব্র গরম আবহাওয়ার দরুন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এমন আবহাওয়ায় হিট স্ট্রোকের সমস্যাটি দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। হিট স্ট্রোককে ‘সান স্ট্রোক’ ও বলা হয়ে থাকে। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় যে কেউ, যে কোন সময় হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারেন। এই সমস্যাটি দেখা দিলে, দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। না হলে শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
শারীরিক এই অসুস্থতার ব্যাপারে সচেতন নয় অনেকেই। হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কিংবা প্রতিকার সম্পর্কেও অজ্ঞতা রয়েছে অনেকের মাঝে।
আজকের ফিচারে সমসাময়িক এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
হিট স্ট্রোক হবার কারণ:
অতিরিক্ত গরম ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার ভেতর লম্বা সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমযুক্ত কাজ কিংবা শরীরচর্চা করার ফলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পূর্বের শারীরিক অসুস্থতা, দুর্বলতা, অনভ্যস্ততা, পর্যাপ্ত জল পান না করা ও উচ্চতাপমাত্রায় বেশি সময় যাবত থাকার ফলে হিট স্ট্রোক হয়ে থাকে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ সমূহ:
১. শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেড়ে যাবে।
২. শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও খুব একটা ঘাম হবে না।
৩. বাড়তি তাপমাত্রার দরুন ত্বক লালচে ও শুষ্ক হয়ে যাবে।
৪. প্রচন্ড মাথাব্যথা দেখা দিবে।
৫. মাথা ঘুরবে অথবা মাথা হালকা বোধ হবে।
৬. পেশীতে ব্যথাভাব দেখা দিবে।
৭. বমিভাব দেখা দিবে।
৮. হৃদস্পন্দন (হার্টবীট) অনেক বেড়ে যাবে।
৯. শারীরিক নানান সমস্যার কারণে আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিবে। অনেক বেশি অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি প্রকাশ পাবে আচরনে।
১০. অবস্থা গুরুত্বর আকার ধারণ করলে অজ্ঞান হয়ে যাবার সম্ভবনা দেখা দিতে পারে।
হিট স্ট্রোক হলে করণীয়:
হিট স্ট্রোক দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত ফ্যানের নিচে আনার চেষ্টা করতে হবে। একইসাথে ঠাণ্ডা জলর সাহায্যে পুরো শরীর স্পঞ্জ করে দিতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি বাথটাবে ঠাণ্ডা জলর ভেতর রোগীকে কিছুক্ষণ শুইয়ে রাখা সম্ভব হয়। পাশাপাশি রোগীকে বারবার জল পান করাতে হবে।
হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়:
১. বাতাস চলাচলযোগ্য নরম ও পাতলা সুতির কাপড় পরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পোশাক যেন খুব বেশি টাইট ফিটিং না হয়। রোদের ভেতর বের হবার ক্ষেত্রে গাড় রঙ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
২. ব্যাগে সবসময় ছাতা, সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন রাখতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পানের কথা একেবারেই ভোলা যাবে না। বিশেষত, বাইরে বের হবার ক্ষেত্রে অবশ্যই ছোট এক বোতল জল সাথে নিতে হবে।
৪. ইউরিনের রঙ পরিবর্তন হয়ে হলুদ হয়ে যাচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ইউরিনের রঙে হলুদাভাব দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এমন হলে দ্রুত জল পান করতে হবে।