আন্তর্জাতিকদেশলাইফস্টাইল

ভারতে শুধু নয়, আমেরিকাতেও মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ

যুক্তরাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ হয়েছে। এতে সেখানের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপর চাপ বাড়ছে। বুধবার (১৮ মে) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে নয় শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মার্চে মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সাত শতাংশ। মূল্যস্ফীতির এমন বৃদ্ধিতে ১৯৯০ সালের মন্দা পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সে সময় ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয় সুদের হার, বেড়ে যায় ঋণ খেলাপির সংখ্যা।

জানা গেছে, চলমান মূল্যস্ফীতির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লাখ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সুনাক বলেন, বিশ্বের সব দেশেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এতে দেশে দেশে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে সম্পূর্ণভাবে মানুষকে আমরা রক্ষা করতে পারবো না। তবে যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমরা উল্লেখযোগ্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া জন্য প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।

দেশটিতে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে এমন ব্যক্তিরা অর্থমন্ত্রীকে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

জোসেফ রাউনট্রি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ রেবেকা ম্যাকডোনাল্ড বলেন, খাবার ও জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। অর্থমন্ত্রী যথা সময়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেকের জন্যই খারাপ পরিস্থিতি বয়ে আনবে, যা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের প্রতি তিনজন মানুষের মধ্য দুইজন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। গাড়ি ব্যবহারও কমিয়ে দিয়েছেন প্রায় অর্ধেক মানুষ।

Back to top button