অর্থনীতিদেশ

বাড়ির পাশে পুকুরে করুন রুই মাছ চাষ, শিখেনিয়ে উপার্জন করুন মাসে ৩৫,০০০

রুই জাতীয় মাছ চাষ পদ্ধতিঃ

১) পুকুর সংস্কার ঃ

পাড় মেরামত ঃ
-মজুদ পুকুরের পাড় এমন উঁচু করতে হবে যাতে স্বাভাবিক বর্ষায় ডুবে না যায়।
– পাড় ভাঙ্গা থাকলে শক্ত করে বেধে দিতে হবে যাতে বাইরের রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ পুকুরে প্রবেশ করতে না পারে।

– পাড়ে গায়ে গর্ত থাকলে তা ভরে দিতে হবে যাতে বাইরের জল চুইয়ে পাড় ভেঙ্গে ফেলতে না পারে।

পাড়ের বড় গাছের ডালপালা ছাটাইকরণ ঃ
পুকুরে জলে ছায়া সৃষ্টিকারী বড় গাছের ডালপালা কেটে ফেলতে হবে। এতে সূর্যের আলো সহজে ও কার্যকরভাবে পুকুরের জলে পড়বে যা প্রাকৃতিক খাদ্য উত্‍পাদনে সহায়ক হবে।

রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ দূরীকরণ
পুকুর হতে রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ দূরীকরণ লাভজনকভাবে মাছ ও চিংড়ি উত্‍পাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। পুকুরে এসব মাছের উপস্থিতিতে নানাভাবে মাছ ও চিংড়ির উত্‍পাদনকে ব্যাহত করে। ফলে ভাল ব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও সন্তোষজনক উত্‍পাদন পাওয়া যায় না। তাই মাছ ও চিংড়ির পোনা মজুদের পূর্বে পুকুর হতেও অবশ্যই সমস্ত রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ দূর করা উচিত।
রাক্ষুসে মাছ

যে সমস্ত মাছ অন্য মাছ অথবা প্রাণীকে ধরে খায় তাদেরকে রাক্ষুসে মাছ বলে। এরা মাছ ও চিংড়ির পোনা খেয়ে ফেলে, ফলে উত্‍পাদন ক্ষতিপ্রস্ত হয়। যেমন- শোল, বোয়াল, চিতর, ফলি, কাকিলা, বাইল্যা, টাকি/লাটি, চ্যাং, মাগুর ইত্যাদি।

মাছচাষে সার ব্যবস্থাপনা

ভূমিকা ঃ মাছ পুকুরের/জলাশয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে প্রাণী কণা, উদ্ভিদকণা, তলদেশের পোকা মাকড়, ছোট ছোট কীট, তলার কেঁচো, মৃত জৈব পদার্থ ইত্যাদি খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। এ গুলোকে প্লাংকটন বলা হয়। সার প্রয়োগের উদ্দেশ্য হলো মজুদকৃত মাছের প্রাথমিক/প্রাকৃতিক খাদ্য উত্‍পাদন বৃদ্ধি করা। এ প্লাংকটন দুই ধরনের । যথা- ১) উদ্ভিদকণা ও ২) প্রাণীকণা। মাছের স্বাভাবিক দেহ বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রয়োজন হয়। ‘ আধুনিক মাছচাষে পুকুরে নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হয় । সার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাকৃুতিক খাবারের প্রার্যুযতা রাখলে মাছচাষে খরচ কমানো যায়। পুকুরের প্রাকৃতিক খাদ্যের ভারসাম্য নষ্ট হলে মাছ উত্‍পাদন ব্যাহত হয়। তাই মাছ চাষে প্রাকৃতিক খাদ্যের ভূমিকা খুবই গুুরুত্বপূর্ণ।

পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা ঃ
প্রাকৃতিক খাদ্যের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পোনা মজুদের পূর্বে ও চাষ চলাকালীন সময়ে নিয়মিত ও পরিমিত জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। এ সকল সার পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উত্‍পাদনে সহায়তা তথা মাছের পুষ্টি ও উত্‍পাদনে সাহায্য করে।
সারের প্রকারভেদঃ সার দুই ধরনের- ১) জৈব সার (গোবর, হাসঁ-মুরগীর বিষ্টা,কম্পোষ্ট/খামার জাত সার)
২) অজৈব সার (ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি)
পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমানের উপর সারের প্রয়োগ মাত্রা কম/বেশী হতে পারে। সারের পরিমাণ নি¤œলিখিত বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।
– মাটির অবস্থা
– জলের মধ্যকার শেওলার পুষ্টির চাহিদা
– পরিবেশের ভারসাম্য
– সারের গুণাগুণ
– মাছের ঘনত্ব

সার প্রয়োগের মাত্রা ঃ পুকুর শুকানো থাকলে জৈব সার জল ভর্তির আগে এবং অজৈব সার জল ভরাটের পরে প্রয়োগ করতে হয়। আবার জল ভরাট থাকলে জৈব ও অজৈব সার ৩গুণ জলে মিশে রোদ্রে সকালে বেলায় সমানভাবে ছিটাতে হয়।

প্রয়োগের নিয়মাবলী ঃ
পুকুরের জলের প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমানের উপর সার প্রয়োগ নির্ভর করে। পরিমানমত টি,এস,পি (কালোসার) পুকুরে প্রয়োগের আগের দিন রাত্রে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে জলে গুলানো টি,এস,পি সারের সাথে পরিমানমত ইউরিয়া সার এক সাথে মিশিয়ে সমস্ত পুকুরে সমানভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে।

পোনা মজুদঃ

সার প্রয়গের ৫-১০ দিন পর পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৌরী হলে মাছের পোনা মজুদ করতে হবে।
পোনার আকার ও ঘনত্বঃ
আকার ঃ রুই জাতীয় মাছের পোনার আকার ৩ – ৫ ইঞ্চি
ঘনত্ব ঃ প্রতি শতক পুকুরে মাছের মজুদ ঘনত্ব বিস্তারিত নি¤œরুপ :

১। রুই জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ
মাছের প্রজাতি নমুনা-১ নমুনা- ২ নমুনা-৩

সিলভার কার্প ৭ – ১২ ১৫ ৯
কাতলা ৩ – ৪ ৪ ৩
রুই ৭ – ১০ ২ ৬
মৃগেল ৬ – ১০ ৩ –
গ্রার্স কার্প ২ – ৪ ৩ ৩
কার্পিও ১ – ২ ৩ –
সরপুটি ১০ – ১৫ ১৫ ১২
গলদা চিংড়ি – – ১৫
মোট ৩৬ – ৫৭ ৪৫ ৪৮

মাছকে সম্পূরক খাবার দিলে প্রতি শতকে ৭০ টি পর্যন্ত পোনা ছাড়া যাবে।

সুস্থ সবল পোনা চেনার উপায়ঃ
মাছচাষের ভাল উত্‍পাদনের জন্য ভাল জাতের সুস্থ ও সবল পোনা মাছের কোন বিকল্প নেই। তবে পারিবেশিক ফ্যাক্টর সমূহ ও অনুকূল থাকা বাঞ্চনীয়। তাই ভাল ফলনের জন্য খামারী/মত্‍স্যচাষীদেরকে সুস্থ ও সবল পোনা চেনা একান্ত দরকার হয়। সুস্থ ও সবল পোনা চেনার আগে রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পোনা মাছের অবস্থা অবশ্যই জানা প্রয়োজন। রোগাক্রান্ত মাছের(পোনা) আচরণ/লক্ষণ জানা থাকলে সহজেই সুস্থ ও সবল পোনা চেনা সহজ হবে। রোগাক্রান্ত মাছের(পোনা) আচরণ/লক্ষণ নি¤েœ দেয়া হলো-

(ক) চলাচলে আচরণ/লক্ষণ –
-উল্টোপাল্টা বা পাক খেয়ে সাঁতার কাটা/ চলাচলে ভারসাম্যহীনতা
-খাবারে অরুচি ও দুর্বলতা
– জলের উপরিভাগের সামান্য নিচে দলবেধে চলাফেরা করা
-বাঁশ, কাঠ বা অন্য কোনো শক্ত বস্তুর সাথে গা ঘষা

(খ) শারীরিক/বাহ্যিক লক্ষণ-
-স্বাভাবিক রং হালকা বা ফ্যাকাশে হওয়া
-পাখনার অগ্রভাগ খসে যাওয়া(ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায়)
-পেট ও চোখ ফোলা হয়
-ফুলকা ক্ষয়ে যাওয়া/ ফুলে উঠা ও বিবর্ণ হওয়া
-চামড়া ও পাখনা ক্ষয়ে যাওয়া

পোনা শোধন ঃ
পোনা কোন জলাশয়ে মজুদ/ছাড়ার আগে জীবানুমুক্ত করে নিতে হয়। ১০লিটার জলে ৫গ্রাম(১চা চামচ) পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে তাতে ৩০ সেকেন্ড/আধা মিনিট গোসল করানো হয়। ৩০০-৫০০টি পোনা একবারে শোধন করা যায়। জলে চুবানো/গোসল করার জন্য হাতজাল ব্যবহার করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে একবার তৈরীকৃত দ্রবনে সমসংখ্যক পোনা (৩০০-৫০০টি) ৪-৫ বার শোধন করা যায়।
উপকরণঃ জল , পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট/খাবার লবন-১চিমটা,বালতি/গামলা-৩টি, মাছের পোনা-৮-১০টি, হাতজাল-১টি।
মিশ্রন = জল + পটাশ/লবন তৈরীকৃত দ্রবনে পোনা চুবানো / গোসল শোধনকৃত পোনা

সম্পূরক খাদ্য: পরিমাণ নির্ধারণ ও প্রয়োগ

মাছ ও চিংড়ির পোনার দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি বাইরে থেকে যে সব বাড়তি খাবার দেয়া হয় সেগুলোকে সম্পূরক খাবার বলে। স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য প্রাণীর ন্যায় মাছ ও চিংড়ির পোনার খাদ্যেও নির্দিষ্ট মাত্রায় সকল পুষ্টি উপাদান থাকা প্রয়োজন। খাদ্যে এসব পুষ্টি উপাদানের কোনটি প্রয়োজনীয় মাত্রায় না থাকলে পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক উপায়ে মাছ চাষ করতে গেলে মাছের মজুদ ঘনত্ব বাড়াতে হবে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক খাদ্যের ওপর নির্ভর করা চলে না। নিবিড় মাছ চাষে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য দিলে মাছের ও চিংড়ির পূষ্টি পরিপূর্ণভাবে সাধন হয়। ফলে মোট উত্‍পাদন তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। কার্প জাতীয় প্লাঙ্কটনভোজী মাছ যথা- রুই, কাতলা, মৃগেল, কমনকার্প এবং চিংড়ি এ ছাড়াও তৃণভোজী গ্রাস কার্প প্রভৃতি মাছ সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।

সম্পূরক খাদ্যের গুরুত্ব
-অধিক ঘনত্বে মাছ ও চিংড়ি চাষ করা যায়
– অল্প সময়ে মাছ ও চিংড়ি বিক্রয় উপযোগী হয়
– মাছ ও চিংড়ির মৃত্যু হার অনেকাংশে কমে যায়
– মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
– চিংড়ির স্বজাতিভোজীতা রোধ করে
– অল্প আয়তনের জলাশয় হতে অধিক উত্‍পাদন পাওয়া যায়।

কার্পজাতীয় মাছের খাদ্য তৈরিতে বিভিন্ন উপাদানের ব্যবহার মাত্রা
উপাদানের নাম নমুনা-১ নমুনা-২
ব্যবহার
মাত্রা (%) খাদ্য
(গ্রাম/কেজি) ব্যবহার
মাত্রা (%) খাদ্য
(গ্রাম/কেজি)
ডফসমিল – – ১০ ১০০
সরিষার খৈল ৪৫ ৪৫০ ৩৫ ৩৫০
ধানের কুঁড়া /গমের ভুষি ৪৫ ৪৫০ ৪৫ ৪৫০
আটা/চিটাগুড় ১০ ১০০ ১০ ১০০
মোট ১০০ ১০০০ ১০০ ১০০০

কার্পজাতীয় মাছের দৈহিক ওজনের সাথে খাদ্য প্রয়োগের সম্পর্ক
গড় ওজন (গ্রাম) দৈনিক – খাদ্যের পরিমাণ (%)
১-৫ ১০
৫-১০ ৫
১০-৫০ ৪
৫০-৫০০ ৩

সম্পূরক খাদ্য তৈরি
বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে খুব সহজেই মাছ ও গলদা চিংড়ির খাদ্য তৈরি করা যায়। চাষি নিজের হাতেই তা করতে পারেন। সম্ভব হলে মিনসিং মেশিন ব্যবহার করেও খাদ্য তৈরি করা যেতে পারে। নিচে মাছ ও চিংড়ি চাষের পুকুরে প্রয়োগের জন্য মিশ্র খাদ্য তৈরির পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
-প্রয়োজনীয় খৈল কমপক্ষে ১২-২৪ ঘণ্টা পূর্বে দ্বিগুণ জলে ভিজিয়ে রেখে উপর থেকে ভাসমান তৈলযুক্ত জল ফেলে – দিতে হবে
– চালের কুঁড়া, ভুষি ও ফিসমিল ভালভাবে চালুনি করে নিতে হবে
– চালের খুদ ব্যবহার করা হলে সিদ্ধ করে নিতে হবে
– সমস্ত উপকরণগুলো একটি পাত্রে নিয়ে ভালভাবে মেশাতে হবে
– আটা পরিমাণ মত জলে ফুটিয়ে আঠালো পদার্থ তৈরি করতে হবে
– উপকরণগুলো আঠালো পদার্থ দ্বারা মেখে কাঁই তৈরি করে ছোট ছোট বল বানাতে হবে।

সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ
মাছ দিনের বেলায় খাদ্য গ্রহণ করে। সে কারণে মাছ চাষের পুকুরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার সমান দু’ভাগ করে একভাগ সকাল ১০-১১ টায় এবং অপর ভাগ বিকেল ৩-৪ টায় প্রয়োগ করা হয়। খাদ্যের অপচয় রোধ এবং জলের পরিবেশ ভাল রাখার জন্য খাদ্যদানীতে খাদ্য প্রয়োগ করাই উত্তম। কার্পজাতীয় মাছকে খাদ্য দেয়ার সময় এটি জলের উপরি তল হতে ৩০ সেঃ মিঃ নিচে এবং পাঙ্গাস মাছকে খাদ্য দেয়ার সময় জলের মধ্যস্তরে খাদ্যদানী স্থাপন করা উচিত। কোন কারণে খাদ্যদানী ব্যবহার করা সম্ভব না হলে প্রতিদিন পুকুরের তলায় কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় খাবার প্রয়োগ করতে হবে। অপর দিকে গলদা চিংড়ি নিশাচর। দিনের আলোর চেয়ে এরা অন্ধকারে চলাচল ও খাদ্য গ্রহণ করতে পছন্দ করে। সে জন্যে কার্প-চিংড়ি মিশ্রচাষের পুকরে প্রতি দিনের প্রয়োজনীয় খাবার দু ভাগে ভাগ করে এক ভাগ সকাল ৬ টার আগে এবং আরেকবার সন্ধ্যা ৬ টার পরে প্রয়োগ করতে হয়। পূর্বের খাবারকে আবার দু ভাগ করে অর্ধেক খাদ্যদানীতে এবং বাকী অর্ধেক পুকুরের কয়েকটি জায়গা পাটকাঠি দ্বারা চিহ্নিত করে সেখানে দিতে হবে। উল্লে¬খ্য যে, চিংড়ির জন্য খাদ্য দেয়ার সময় পুুকুরের তলদেশ থেকে এক ফুট উপরে খাদ্যদানী স্থাপন করতে হবে।

সবুজ খাদ্য প্রয়োগ
গ্রাস কার্প ও সরপুঁটির খাদ্য বাঁশ বা অন্য কোন উপযুক্ত উপকরণ দিয়ে তৈরি চৌকোণাকার ভাসমান ফ্রেমের (ঋববফরহম ত্‍রহম) মধ্যে দেয়া ভাল। ফ্রেমটি পাড়ের ১-২ মিটার দূরত্বে স্থাপন করতে হয়। ৩০ শতাংশ পুকুরের জন্যে ফ্রেমের সাধারণ মাপ হচ্ছে ১ বর্গ মিটার। পাতা জাতীয় উদ্ভিদ টুকরো টুকরো করে ফ্রেমের মধ্যে দিতে হয়। কলাপাতা ব্যবহার করা হলে কুচি কুচি করে দেয়া উচিত। খাদ্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবার খাদ্য দিতে হবে।

Back to top button